শূণ্যতারা জেনেছিল আমি তোমায় আঁকছি…
হারিকেনের তলায় কেরোসিনের কালি
যতটুকু জমা থাকে-
তার পস্তরে পস্তরে রাত যেভাবে বিলীন হয়,
নাহয় কাজল গলা জল দিয়ে
অথবা পাজরের লাল রক্ত…
শূণ্যতারা জেনেছিল তোমায় আঁকতে
এই তুচ্ছ নারী কার্পন্য করবে না।
বছরের পর বছর,
কত শতাব্দী পেরিয়েছে,
কত ঘাটের,
কত জলে,
কত নামে,
কত আমি,
আমরা
কলস ভরেছি।
উনুনের আঁচে জ্বলে জ্বলে
জন্মেছে লাবন্য-
সবটুকুই তোমাদের।
কত হতাশা,
কত হাসি,
কত তুচ্ছ আবেগ,
তুচ্ছ তুচ্ছ অভিমানে
আবদারে গড়া নারী-
তুমি নাহয় শুধুই তোমার।
তবুও শক্ত করে আগলে রেখেছি
তোমার সে তোমাকে,
পুরুষত্বের হিংস্রতা
বুকের আশ্রয়ে জমানো থাক-
ও তোমাদের ভালবাসার ছোবল মাত্র।
ওটুকু বিষে আমাদের কিছু হয়না।
নাহয় আরো দু-এক পাতা
কাম জাগানো গ্রন্থে জমা করো
কবির ছলনায় সৃষ্ট
পুরুষের সে দীপ্তময় প্রসাদ।
দেবীদের মর্তে নামিয়ে এনে
রাতকে করে তুলুক জীবন্ত।
লালসার রসদে প্রেমিকার পূজা-
তাতেই ঘরে একাকী শুয়ে থাকা
ও তুচ্ছ নারীর আত্মতৃপ্তি হবে।
সকল জ্বালা,
সকল মায়ার হিসাব
তাতেই চুকে বুকে যাবে।
শূণ্যতারা জেনেছিল আমি তোমায় আঁকছি
কত হাহাকারে,
কত যুগে যুগে,
আমি তোমায় একেছি।
জড়িয়ে থেকেছি আষ্টেপৃষ্ঠে…
কখনো কাজল গলা জলে,
কখনো পাজরের রক্তে,
তবুও এ তুচ্ছ নারী
কোথায় তোমার সমতুল্য!
কিন্তু ভালবাসায় আজও সে
কার্পন্য শিখেনি।
শূণ্যতারা জানে,
শূণ্যতারা সব জানে …
2020-04-05