প্রতিদিন নিখোঁজ হচ্ছি ভেসে আসছে অচেনা আমি
মাংসের যন্ত্রে ছেয়ে গেছে মৃত শহর, পাথর বুকের ভেতর
একটা ইতিহাস হলে পাখি দেখে মুখতুলে ঝুলন্ত আকাশ
নিজের’টার খবর নেই, উল্টো কিছু প্রবাসী দুঃখ নিয়ে বেড়ায়।
বন্দীশালায় দেওয়াল ভেঙে পড়ে টুকরো আকাশ
উৎসবের বাজী ধরে বিবেক হয়না প্রসাদের থালা
উপচেপড়া নির্ঘুম রাত পেরুতে যখন সম্মুখে সকালের বায়না বিষাদ
মরুভূমি বুকে রানওয়ে হয়ে যায় ভীষণ একলা
সেখানে আজঅব্দি বসতবাড়ি সাপ্তাহিক পতঙ্গের ভিড়।
এই যে রোজ দুপুর হাসতে হাসতে অলস হয়ে পড়া
পুকুর ডিঙিয়ে সবুজ বাতাস গায়ে মেখে উড়ে চিল
এই যে কর্পোরেট ভাবনার আড়ালে মরছে পাহাড়
তার আধোছায়াতে বৃষ্টির নাম হতাশাব্যঞ্জক চিহ্ন হলে
ভেঙে যায় ঘুম মধ্যরাতে ঝরতে থাকে আনাড়ি ঘাম।
সব কিছু ভ্রম হলে আমি রাতের সাথে কথা বলি
একলা লাগলে অন্ধকারকে ডেকে সামনে বসাই
চা খাওয়াই সিগারেট ধরাই মাথার চুল সামলে আরেকটু জেগে বসি
দরজা বন্দ করি ভীষণ নীরবতা মেনে হাতড়ানো বুক সাবধানে
মানুষের আনাগোনা আগুন জ্বলে কার ঘরে, কোনখানে।