কেউ একজন চেয়েছিল
আমি তার নগরজুড়ে নাগরিকতমা হই।
অথচ,আমার ভালো লাগে
অফুরন্ত খোলা প্রান্তর,ফুলের পাপড়ির
খেলা আর সবুজের বুকে নীল ঘাসফুল।
হয়তো,আমার কোন এক কবিতার
গোছানো এক প্রেমিক হতে চেয়েছিল সে!
অথচ,আমার ভালো লাগে
ছন্নছাড় ভবঘুরে সন্ন্যাসী
বিরানপথে হেঁটে চলা বাউন্ডুলে গায়েন।
জানো? আমার নগর ভালো লাগে না
কোলাহলহীন জনপদশূন্য লোকালয়
বেশ লাগে তারচেয়ে।
আমার চঞ্চলা নদী ভালো লাগে,
গাঢ় সবুজ রঙের জলের ঢেউয়ের তোড় ভালো লাগে।
আমার নাগরিকতমা হতে ইচ্ছে করে না,
একদম না।
নদীর জলের শব্দ তো শুনেছিলে,না?
কিংবা ঢেউ?
আমার ওই ছন্দময় শব্দ হতে ইচ্ছে করে
মাঝ নদীতে হাঁটতে ইচ্ছে করে ভীষণই।
বিশ্বাস কর,
আমার একটুও নাগরিকতমা হতে ইচ্ছে করেনা!
তুমি বরং কবিতায় বেঁচে থাকো
এক কবিতায় না হয় নাই হল,
অন্য কবিতায় তুমি থাকো। একটু একটু
করে শব্দে সাজো।
প্রিয় অথবা অপ্রিয় হয়ে।
তোমার নগরের নাগরিকতমা আমি হলেও জেনো
আমার কবিতার প্রেমিক তুমি নও,
নও ছোট্ট নগরের এক অগোছালো নাগরিক।
তুমি প্রেমিক কিংবা
নাগরিক নও।
নাগরিকতমার সাদা কাঁচ ভেদ করে থাকা
কালো চোখের গভীর কোনো স্বপ্ন নও তুমি,
তুমি বহুদিন পর কোনো এক কবিতার এলোমেলো শব্দগুচ্ছ।
তোমাকে ইচ্ছেমালায় সাজানো যায় না, হঠাৎ
ভেবে চোখে বাঁধা যায় না তোমাকে।
তুমি দৃষ্টিসীমার বাইরের কোন এক প্রেমিক
কিংবা নাগরিক।