ঘুম ভেঙে গেল তার হঠাৎ ডাকে,
“কিরে মাগী ওঠোস না ক্যান তুই !
পান্তা কয়ডা বাইরাদে, বাইর হমু যে…।”
চোখের পাতায় লেগে থাকে
আধখানা স্বপ্ন তার,
বাকি আধখানা চলে যায়
পান্তা আর ঝাল মরিচে।
দুপুর ভাগে স্বামীর ডাকে
চমকে ওঠে সে আবার,
“কিরে ভাত হইছে নাকি ?
কামতো খালি ভাত রান্দা,
করস কি সারাদিন শুনি!”
সোহাগে যতনে বেড়ে দেয়া প্লেটে
স্বপ্ন গেলে সে আবার।
সন্ধ্যায় শ্রান্ত শরীরটি
যখন পড়ে থাকে বিছানায়,
স্বামী তখন হঠাৎ করেই কবি হয়ে ওঠে,
“তুমি আমার সোহাগ যতন
অঙ্গে ভরা মানিক রতন”
এরপরের ইতিহাস
পৃথিবীর কাছে খুব আলোচিত,
শুধু খোঁজ নেয় হয়নি অথবা হবেনা,
আরেকটি প্রাগৈতিহাসিক দিন
তার জন্যে অপেক্ষা করছে।
2020-03-10