খুন হয়ে গেছি-
স্রোতের উচ্ছাসের ভীড়ে নিভৃতে অশান্ত সুরমার কাছে,
খুন হয়ে গেছি নির্জনে চিলেকোঠার চড়–ইয়ের কাছে।
এই শহরে এক বালিকার আঙুল
দিয়েছিলো আশ্রয় এক কাঠফাটা রোদ্দুরে,
নি:সঙ্গ সময়ের ঋণ আগলে হৃদয়ের আঁচলে।
যবনিকায় উত্থান আমিও দেখেছি
শহরের ছাদে সন্ধ্যাতারার যুগল চাহনিতে,
সোডিয়াম বাতিদের ঘরচুরির সেইসব সন্ধ্যাতে।
আমিও প্রেমিক ছিলাম বিগত বসন্তে !
উদ্যানের কলারে বালিকার ঘ্রাণ লেগে আছে এখনো,
সেইসব ঘাসদের সংসারে দীর্ঘশ্বাস আজও লুকোনো।
শহরের পথেঘাটে গম্ভীর কানাঘুষায়
মেতেছিলো, যে পাখিটি বরাবর ছিলো ঘরকুনো, সেও-
সেইসব রটনার বিবৃতি কানে গেলে হাসতো বালিকাও।
আর কেউ না জানুক-
এই শহরের ফুল আর পাখিরা জানতো!
শান্ত নদীর মতো এ শহরে, কোনকালে
আমার সর্বস্বজুড়ে এক বালিকা ছিলো।
নাগরিকতমা
খালিদ রহমান
প্রয়োজনে সেদিন কারফিউ থাকবে নাগরিকতমা,
নগরীর রাস্তায়, মোড়ে, বিপণী বিতান, পানশালা আর অলিতে- গলিতে।
কারফিউ জারি করবো স্বয়ং স্বৈরশাসক এই আমি
জীপ থেকে লাফিয়ে নেমে সেনাবাহিনী তোমায় কুচকাওয়াজে সেলাম ঠুকবে,
আসতে যেতে।
শূন্য রাস্তা, অফিসগামী ব্যস্ত মানুষের এক দিগন্ত নিস্তব্ধ কলরব।
রিকশা এগোবে বহুদূর হিমালয় থেকে ভেসে আসা বাতাস কেটে,
পথকলিরা কাঁটা ভেঙ্গে গোলাপ ছুঁড়বে দুপাশ থেকে মুহুর্মুহু
সেতার আর অর্গানে বাজবে প্রিয় সুর … এক-দুটো নয়, বহু।
তবে কিনা ইদানীং কিন্তু মুখচোরা ভদ্র আমি ডাকাত হয়েছি ভীষণ
ফাঁকা রাস্তায় হুট করে ধেয়ে আসা চুমুর ভয়ে ভীত তুমি হতেই পারো।
লজ্জা-সংকোচ ?!
সেসব কিসের আবার ?
স্বর্গ, মর্ত্য, চরাচরে হুলিয়া জারি করা আছে- এ মানবী শুধুই আমার !
2020-03-10