বয়সীদের কাছে বসলেই নিজেকে অসহায় লাগে খুব!
কী দাপটই না ছিল এককালে,
দাপট সেই কোথায় আজ?
ক্রোর কিংবা অহম হাসি
বাঁকা চোখ চাহনি
ঠোঁটকাটা তিতে কথা
ঘরময় কথার তীব্রতা!
দৃষ্টি যেন মাছির, সর্বত্রই খেয়াল, কে কী করলো
কে কী খেলো, আহা অশীতিপরে এতটাই বেখেয়ালী।
অসহায় চোখের তাকানো দেখলে কলিজা শুকিয়ে যায়,
পরনির্ভরশীল আগাছা আজ!
শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণহারা মানুষগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে,
এবার তবে অপেক্ষা, শেষ খেয়া ধরার আশায় মুহুর্ত গণনা।
ভাবলেই বুকের ভিতরে হাহাকারের ঢেউ উঠে,
তুচ্ছ লাগে সকল আনন্দ, তুচ্ছ লাগে বেঁচে থাকা!
কেটে গেলো আধেক জীবন,
উলটা গুণতি শুরু, চোখ বন্ধ করে জগতে পা রাখি অন্য জগতে
অসহায়ত্বের দোরগোড়ায় এই পৌঁছলাম বলে।
আমি কার কে আমার, কেউ নই কারো,
তবুও সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা।
আমি সংসার চাই নে, দাপট চাই নে,
অধিকার চাই নে, কেউ ভালোবাসুক তাও চাই নে,
আমার উপর নির্ভর করুক কেউ সে’ও চাই নে
হে আল্লাহ মুছে দাও মনের অহম, ঈর্ষা, হিংসা;
হে রাব্বুল আলামীন প্রতিশোধ পরায়ণ মন যেন না হয় কভু আমার।
আপু, ফেসবুকে যাদের চিনি, কথা হয় তাদের একজন তুমি এখানে তেমন কারো সাথে কথা হয় না।কমেন্টস করা হয় না। আজ লিস্ট দেখতেছিলাম। দেখি তোমার নাম। ক্লিক করেই এই লেখাটা পড়লাম। ভালো লাগছে। অনেকেই আছে লেখায় আর কথায় মিল নেই। কিন্তু তোমার সাথে সেই কথায় এই কবিতার মিল।