গত তিন দিনে আমি কথাবার্তাহীন যতটা পথ হাইটা আসছি- পিথিবিতে এর আগে কখনোই আর এমনটা হয়নায় আমার লগে। প্রত্যেকটা বার আমি গিয়া গিয়া থাইমা গেছি একটা শতবর্ষী পুরাতন দীঘির পাড়ে। বইসা বইসা ভাবছি কেবল– ক্যান এই মানুষজনম—! ক্যান এই বাঁইছা থাকা—!
কে জানে—! আমার আগে আরো বহুজনেই হয়তো তাগো এই প্রশ্নের ঠিকঠাক কোনো জবাব না পায়াই- প্রত্যেকে তাগো স্ব স্ব জীবনের চড়ঙ্গা লাগায়া ভবলিলা সাঙ্গ কইরা ওইপাড়ে চইলা গেছে। তা নাহয় বাদ’ই দিলাম। আমারে তো মাওলা সাহেব গাছ বানায়া পাঠাইতে পারতেন অন্তত– অবঘাতী এই ধরাধামে! কিঙবা মাছরাঙা’র ঠোট! দেইখা নিতে পারতাম ছত্রাক জল আর মাছেগো অন্বয়! কিঙবা প্রীতির পারাবত! ঘেন্নায় ঘেন্নায় বাইড়া ওঠা– প্রবল প্রণয়ের বাতাবরণে মুইছা দিতে পারতাম মানুষের হৃদয়ের বেষ্টন।ধেঁই— ধুরবাল! আমারে বানানো হইলো মানুষ! এখন চাইলেও জনে জনে অক্ষরে অক্ষরে মাইখা দিতে পারতেছিনা শব্দের ভুড়ভুড়ি—!