অঙ্কের পরীক্ষায় বন্ধুর খাতায় উঁকিঝুঁকি- টেনেটুনে ব্যর্থ বত্রিশ। আর্জু’র ঠোঁটে এই প্রথম- আমার দুটো ঠোঁট;এক টাকায় চারটে খাস্তা বিশ্কুট। এসব’ই ছিলো আজ ভোর বেলাকার স্বপ্নে।
গলা অবধি মুড়ে থাকা একজোড়া বিচ্ছিরী সাইজের ফুটওয়্যারে পৃথিবীর বুকে উদ্দেশ্যহীন,অচ্ছুৎ বেড়িয়ে পড়ে জেনেছি; মৃত্যুর সম্ভাব্য কাঁটাতার- পথরোধে দাঁড়িয়ে যায় কেবলমাত্র একা আহত অশ্বারোহীর।জেনেছি- সহসা একদিন ঘুম হতে জীবন আর জীবন হতে একদিনতো টোক করে ছিটকে পড়বেই চোখের কার্তুজ। তাই— কৃমিকীটের মতোন বেঁকেচুরে যাওয়া জীবনের দশবারো কিলোমিটার ধূলো উড়ানো ক্লান্তির পথ হেটে এসে- এখন ভাবছি অন্যকিছু। অন্যকিছু মানে সে অন্যকিছু।’ মদ, নারী, পাঁচসাত তলা বাড়ী, এইসব কবিতা সাহিত্য ফাহিত্য- হৈচৈ বাঁধানোর মতো তুলকালাম কিছুই নয়।
এখন ভাবছি অন্যকিছু।অন্যকিছু মানে সে অন্যকিছু।
শহরের প্রত্যেক্টা দেয়ালে দেয়ালে- কে ছেপে দিলো আমার নামে ষড়যন্ত্রী পোস্টার।গোয়ালঘর হতে কে মেরে দিলো দুই-দুইখানা দুধেল গাই।পেছন হতে কে মেরে গ্যালো আমার পোঁদ। কবিতার খাতায় ‘দ্বেষ’ উচ্চারণে কার হয়ে যেতেছে ধ্বজভঙ্গ অসুখ! ওসব নিয়ে ভাবছিনা খুব একটা আর আজ।
এখন ভাবছি অন্যকিছু।অন্যকিছু মানে সে অন্যকিছু।
কে খাওয়ালো চা বিড়ি আর রাতের আহার।দুর্দিনে কে শোনাল অভয় আমায়- কাঁধ হতে স’রে গ্যাছে কতোটা বিশ্বস্ত হাত।
হাহ!
ভা ব ছি- কবিতার এই স্বাধীন বাঙলায় এইবার আমি চেলে দেবো—
পঞ্চাশ পয়সার খুচরো আধুলি;পাকিস্তান পিরিয়ড। চেলে দেবো- প্রবল হতাশায় উন্মাদ ব’নে যাওয়া আমার পূর্বপুরুষ- কিঙকর্তব্যবিমূঢ় ১৯৭০-১৯৭৬।