5/5 - (1 vote)

পড়ে থাকা দেহাবশেষের মলাট খুললেই বেরিয়ে আসবে,
শ্যাওলা পড়া ধংস প্রাচীর।
খুবলে খাওয়া কিছু হায়নার আঁচর চিহ্ন।
আর কোটি গ্যালন বুঁকের খাঁচে আটকে যাওয়া জল।
যে জল চোখের সুরঙ্গ কেটে,
ঝর্নার ন্যায় বইঁতে পারেনি কত সহস্র বছর,
কত সহস্র যুগ।
ঠোঁট গুলো বিভৎস চিৎকারে বর্ষা কামনায় রত,
এ ঠোঁট কোনদিন কোন ঠোঁটের আলিঙ্গন পায়নি।
পেয়েছে শুধু ক্ষর চৈত্রের তিক্ত তাপ
হাত বাড়িয়ে কত বার ফিরিয়ে নিয়েছে বা বাড়ায়নি,
শেত রক্ত কনিকা কালো হয়ে মিহি দাগ এঁটে দিয়েছে
তর্জনীর বুননে বুননে।
আর সুবিশাল চওড়া বুকের ছাঁতী,
সেটা হয়তো কাউকে জড়িয়ে ধরার আশায় চেঁতিয়ে ধরা হয়নি
সেখানে রক্ত শুকিয়ে জীর্ণকায় হয়ে আছে,
নাকি সহস্রাধিক ভাঙ্গনের আঘাতে
চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে অনুকায় হয়েছে এ বুক, কে জানে!
আর তার পা !
সে তো তার শিরায় শিরায়
প্রতিটি মাংসপেশিতে আলপনা একেছে বিরত্ব গাঁথার,
কোন প্রেমিক!
সে কত বড় প্রেমিক হলে,
এত পথ হাঁটা যায় অবলিলায়?
শুনেছি একা থাকলে,
বড্ড উদাসীন হলে,
পথ হাঁটা যায়!
যাওয়া যায় বহুদূর__
তাইবলে এতটা পথ?
এতটা পথের চিহ্ন কি করে থাকে এখানে?
আলপনায় আঁকা পথের নকশা!

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments