এই পৃথিবীর সমস্ত রঙিন ধুলা ফুরিয়ে যায়।
কোন এক নারীর মুখ দেখে, সমস্ত ঋতু, রক্ত, সফলতার পরেও
জন্মেছে মানুষ।
সে নারীর
মতো
উজ্জ্বল
অথচ প্রাণহীন
মুখ আমি কখনো দেখতে পাই নি।
একটা ঘরভর্তি
সাদা চামড়ার মানুষদের দিকে তাকিয়ে
আমার ভীষন অস্বস্তি হয়।
যদিও তোমাকে ভালোবাসবার পর
কিংবা পর নয় সেই মুহুর্তেই
আমি একটি নারী মুখ দেখবার
আকাঙ্খায় পুনরায় জন্ম নিতে
চে
য়ে
ছি।
অমন উজ্জ্বল অথচ প্রাণহীন মুখ আমি কখনো দেখতে পাবো না।
- আমার দিকে ধেয়ে আসে সাহিত্যের এরিস্ট্রোক্রেসি।
আমার দিকে ধেয়ে আসে আমেরিকান বোমারু বিমান।
আমার দিকে ধেয়ে আসে এক ঝাক উড়ন্ত বুলেট।
তবু একটি নারী মুখ দেখবার আশায় মাদার অব আর্থ,
হলি আটলান্টিয়া কিংবা সেই প্রাচীন বিলুপ্ত নগরীর পথে পথে,
করেছি কবিতার চাষবাদ।
তোমাকে ভালোবাসবার পর ব্যালকনিতে রেখেছি একটি সূর্যমুখীর চারা।
প্রতিদিন কিছু মৌমাছি এসে গল্প শোনায়,
একটা সুদর্শন কাকাতুয়া, বসে থাকে জানলায়।
আমি অনর্গল পড়ে শোনাই জীবনানন্দ দাশ।
“যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে
অথচ যার মুখ আমি কোনোদিন দেখিনি,
সেই নারীর মতো
ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হ’য়ে উঠছে।”
আমাদের শহরে এখন শীতকাল।
কয়েকটা কবিতা লেখবার পর-
তবুও, একটি নদী কিংবা নারী; যার মুখ দেখে-
আমি পুনর্জন্ম নিতে চেয়েছি।
তার মুখ দেখে, সমস্ত ঋতু, রক্ত, সফলতার পরেও
পৃথিবীতে জন্মেছে মানুষ।
নিষিদ্ধ গন্ধম কিংবা আপেল নয়,
এটি ছিলো শুধুমাত্র একটি নারীমুখ।
যাকে আমি ভালোবেসেছিলাম।