সব কিছু কেমন অর্থহীন মনে হয়।
এই যে সমাজ, সংস্কৃতি, টেবিলের কোনে পড়ে থাকা মার্ক্সের ক্যাপিটাল- সব কিছু।
চারদিক প্রচন্ড অবসন্ন, ফ্রাস্ট্রেশন ফ্রাস্ট্রেশন।
বহুদূরগামী ঝিঝি পোকার ডাকে কতগুলো ফ্রাস্ট্রেডেড সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।
মদ, মেয়েছেলে, আরো কিছুটা এস্থেটিক সাহিত্য, অশ্লীল রাজনৈতিক লদকালদকি,
কিংবা ভুরি ভুরি গাল গপ্পে- আমার বমি পায়।
কী অর্থহীন! কী প্রচন্ড অর্থহীন!
আমি দেখেছি এই সবই মিথ্যে, প্রচন্ড মিথ্যে। যৌনতার কথা শুনে নাক সিটকানো অদ্ভুত মানুষেরা,
সন্ধ্যাবেলা চুপি চুপি বেশ্যাকে ডেকে নেয় ঘরে।
মানুষকে দেখে আমি নাক সিটকাতে পারি না।
ভদ্রতার মুখোশের ভেতর দলা পাকিয়ে যায়, পেট মুচড়ে ওঠে।
ঘরে ফিরে গড়্গড় করে বমি করি।
আমি দেখছি, বুঝছি- এই সমস্ত কিছু অর্থহীন।
অর্থহীন সমস্ত কিছু, নাগরিক চাষাবাদের অনুর্বর জমি।
ভাসানী হলের শান দেওয়া পুকুর ঘাট কিংবা মানুষের হিপোক্রেসির মধ্যে ইদানীং তফাৎ খুঁজতে চাই না।
কেননা আমি জেনেছি দু’টোই দূর হতে ভালো।
সব কিছু কেমন অর্থহীন মনে হয়।
চারদিক প্রচন্ড অবসন্ন।
ঘেন্নায় থু থু ছিটাতে ইচ্ছে হয়।
থুথুগুলোয় ভদ্রতা মিশিয়ে গিলে ফেলি।
নাগরিক নপুংসকতার ফিরিস্তি লিখে দিস্তা দিস্তা কাগজ ভরাই।
ঘেন্না ধরে, ছুঁড়ে ফেলে দেই।
নিজেদের বোনের সাথে সংগম করতে চাওয়া বানচোদের মতো মনে হয়।
কমদামী কনডমে মাথা গলিয়ে খিস্তি করে যাই,
খিস্তির প্রচুর এসথেটিকস৷
ইদানীং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
হিরোইন কিংবা ডেক্সপোটেন প্লাস খাচ্ছে যে মানুষগুলো, তাদের দেখে নিজের প্রতি করুণা হয়।
ক্রমাগত ক্লাস নোট লিখে গেলে হয়তো হতো না,
তথাকথিত জীবন দেখতে দেখতে ইদানীং ঘরে ফিরতে চাই।
মনে হয় চাকরি করা প্রয়োজন, এই বাজারে লো সিজিপিএর চাকরি নেই, বাজারের লো সিজিপিএর প্রয়োজন নেই।
কোন কিছুর জন্যই ইদানীং আগ্রহ পাই না।
কোন রাস্তা কিংবা অলকানন্দা না। কোন কবিতার জন্যও না।
নিজের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে টের পাই।
শুধু মাত্র পরের হেমন্তের জন্য বেঁচে থাকা অর্থহীন মনে হয়।
সব কিছু কেমন অর্থহীন মনে হয়।
চারদিক প্রচন্ড অবসন্ন।
2022-08-04