ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক সকল সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক।
নিপীড়কের বিচ্ছিন্ন কোন দল নেই, ছ’টি মহাদেশে মৃত মানুষেরা তাই সাক্ষ্য দেবে।
তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত শ্রমিক, লাতিন আমেরিকার পিপলস মিলিটারি অথবা, আমার বাংলার চাষী-
তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, তারাও সাক্ষ্য দেবে!
ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলতে গিয়ে, টেনে হিঁচড়ে বের করা লাশের দিকে তাকিয়ে তাকে প্রশ্ন করুন-
খুনটা কে করেছিলো সি আই এ নাকি কেজিবি?
জাতিসংঘ এসব প্রশ্নের উত্তর জানে না।
উত্তর পেতে চাইলে ঘুরে দেখুন দক্ষিণ এশিয়া, ঘুরে দেখুন লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা।
মানুষের বন্দর আর কিছু ঘরবাড়ি,
আর কিছু নয়- কেবল ক্ষুদাতুর মুখ।
আজ বিশ্বযুদ্ধের দামামার মুখে-
তৃতীয় বিশ্ব থেকে একজন কবি সমস্ত শাসকের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেবেন কবিতা।
একজন চাষি মেলে ধরবেন ক্ষেতের ধান, একজন শ্রমিক দেখাবেন কড়াপড়া দু’টি হাত।
একজন সৈনিক- কোর্ট মার্শালের ভয়ে যুদ্ধে গেছেন যিনি, এবার স্বেচ্ছায় ধরবেন রাইফেল।
ধ্বংস হোক, সকল সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক।
ধ্বংস হোক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ।
ধ্বংস হোক রুশ সাম্রাজ্যবাদ।
ধ্বংস হোক চীন, ধ্বংস হোক ভারতের আঞ্চলিক সাম্রাজ্যবাদ।
আমার বাংলাদেশের নদীতে জল ফিরে আসুক,
জ্বালানি তেল থেকে প্রতিদিনের খাবার আমরা কিনতে চাই সাধ্যের ভেতর।
চোখে ছানি ফেলে দেওয়া চকমকে ট্যাংক আর হাই রেইজড দালানকোঠা আমরা চাই না।
সবুজ গাছের পাশে বয়ে যাওয়া প্রবল মেঘনা- এই তো চাই আর কিছু নয়।
যুদ্ধতো চাই নি কোনোদিন।
স্বৈরাচার আর সাম্রাজ্যবাদের ভেতর
আমার বোন ধর্ষিত হয়ে পড়ে থাকলে-
আমার ভাই রক্তাক্ত ফিরে এলে ঘরে-
একজন চাষীর ক্ষেতে আগুনে পুড়লে ফসল-
শ্রেণিঘৃণার যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছি না খুঁজে বুকের ভেতর আর।
তৃতীয় বিশ্বের একজন কবির কেবল শ্রেণিসংগ্রামেই কারবার।
আর কিছু নয়, আর কিছু নয়।
2022-02-24