আমি একটা সমুদ্রকে ভালোবাসতাম-
এখনো বাসি।
প্রচন্ড ঝড়ে টলমল পায়ে আমি এসে দাঁড়াই-
সমুদ্র সংক্রান্ত আজীবন সঞ্চিত বিদ্যা হাতে।
এই আমার জীবনবৃত্তান্ত: কিংবা নয়,
এইটুকু লিখে নিয়ে ত্রস্ত পায়ে হেটে আসি;
হলুদ এবং, সাদাটে আলো জলা বহুদূর শহরের পথ।
বুক পকেটে বেগুনি চিরুনি, হাত ব্যাগে ময়লা চাদর ;
পুরোনো জামাকাপড় বদলে নিয়েছি।
পুরোনো জাহাজে ছেড়েছি খালাসির কাজ।
রক্তিম আকাশের কোনায় কোনায় লিখেছি সমুদ্রের নাম।
একটা কাজের ভিষণ প্রয়োজন;
নতুন জাহাজের কাজ।
সমুদ্রকে আমি ভালোবাসতাম, এখনো বাসি।
আরো কিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন পেয়ারা বাগান পেরিয়ে গেলে,
সুদিন দেখা দেবে।
এই কথা জেনে,
শুদ্ধ কিংবা ভুল কিছু নয়
কথা বলবার অবসরে; শুনেছি জীবনের শপথ ৷
যদিও পথিক নই, সমুদ্রচারী একজন।
সবুজতম গাছের দল খুঁজে নিয়েছে পথ,
বহু দূর অন্ধকার পথ।
পথের শেষে সমুদ্রে নতুন জাহাজ।
প্রচন্ড ঝড়ে টলমল করে এগিয়ে যাই।
ভুল বন্দরের নোঙর তুলে চলে যেতে হবে;
চিনে নিতে হবে গভীর সমুদ্রের পথ।
এখনই নিভে যাবে আলো; সাঁঝবাতি জ্বেলে তবুও-
বাতিঘর,
প্রিয় এক দ্বীপে।
যেখানে অপরাজিতা, শিউলি আর জবাফুল ফোটে৷
জোয়ারে ডুবে যায় শ্বাসমূলী বন।
সেই দ্বীপের পাড়ে, এক সমুদ্রের পাড়ে-
ফুলের কিংবা শ্বাসমূলী বনে,
আমিই কেবল আর কেউ নয়, করবো সামুদ্রিক যাপন।
দমকা হাওয়া, স্বাসমূলী বন, আর তুমি সমুদ্র আর কেউ নয়;
ছিলো না কখনোই কোথাও।
প্রিয়তম সামুদ্রিক তুমি ছুড়ে দেবে জল, মধুরতম গান।
এইসব সামুদ্রিক বায়ুতে ঘটে জীবনের পুনঃনির্মান।