1/5 - (1 vote)

তুমি নাই-বা জানলে এতো শত কবিতার মানে
গানের সুর-পঙক্তি গুলো অস্পষ্টতায় মুড়ানো,
তারার আলো যেমন তোমার চশমা হীন চোখে
ঝরে পড়ে, তেমনি সেসব অস্পষ্টতায় জড়ানো।

লাশকাটা ঘরের মতো পরিত্যক্ত পঙক্তি মালায়
তোমার আবছা দৃষ্টি পড়ুক কিংবা না পড়ুক,
নাইবা খুঁজলে তোমার তুমি কে গান ও কবিতায়;
আমার অশ্রু ঝরতে থাকুক আরো আরো ঝরুক।

বসন্ত আসে, ফুল ফুটে তোমার নামে, না-ই জানলে,
তোমার আঁকা ছবিতে তুমি ভীষণ আরামে থাকো;
কাঁঠালের ঝরা পাতায় সে কবিতা না-ই দেখলে,
বাঁধো তোমার জটিল সূত্রে আপন সংসার বাঁধো।

অশ্রুপাতের শব্দে ঘুম তোমার নাই-বা ভাঙলো
ঘুমকাতুরে চোখে আমায় তুমি নাই-বা খুঁজলে,
তোমার দিগন্ত রেখায় মুছে যাক অন্তিম আলো
যে আলোয়,”চাইলেই তুমি আমায় দেখতে পেতে!”

আমার কোনো অভিযোগ নেই তোমার চোখে চেয়ে
আছে কেবল অভিমানের নিদ্রিত আগ্নেয়গিরি,
কত উচ্ছাসের রঙ মিশে যাবে গোধূলি দিগন্তে;
হাতড়ে দেখলেও তো পারতে কতটা ভালোবাসি!

কুহকী শেষ প্রহরের রঙে আমি এঁকে চলছি
তোমার ছবি, তোমার নামে লিখছি গান-কবিতা,
তোমার প্রতিটি তপ্ত নিশ্বাসে ঘুরছে মায়া চরকি
এইসব নাহয় তুমি নাইবা জানলে স্বর্ণলতা।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments