এই বাতাসের শ্রুতিমধুর গোঙানির সাথে আমি হাসির উপশম দিই,
কথা বলতে যাই,
কথারা আত্মহত্যা করতে করতে শুধু একটি বাক্যে সব মেনে নেয়…
একটি বাক্যে বাঁচতে চায়….
“আমাদের জানালায় এখনো শরতের আকাশ”
আমি চোখ বন্ধ করতে না পেরে হেসে ফেলি….
এত সংশয়ের ঘনত্বে আমার জাগতে ইচ্ছা করে না,
‘জীবন’ ‘জীবন’ বলে চিৎকার করতে করতে স্বরযন্ত্রের কাচ ভেঙে গেছে….
আমায় সান্ত্বনা দিতে পার….
চোখে সুঁই গেঁথে বলতে পার অন্ধত্বে অনেক ব্যথা,
পা ভেঙে দিয়ে বলতে পার পঙ্গুত্বে অনেক ব্যথা…
তবুও পৃথিবীর অট্টহাসি প্রচন্ড ধাক্কা দেয়…
ধাক্কা খেয়ে শিরা, ধমনি পেচিয়ে যায়,
আমি একটা কাগজ হয়ে যাই!
কাগজের এক পৃষ্ঠায় অক্ষরদের কান্নায় সব লেখা এলোমেলো হয়ে গেছে…
অপর পৃষ্ঠায় পৃথিবীর কবরের কোলে মাথা রেখে শিশুর মতো ঘুমিয়ে পড়া আমার ছবি।