নুনে শরীর জ্বলসে যাচ্ছে,
অবধারিত অশ্রু,ঝড়ার প্রতীক্ষা করছে,
কী যেন এক অশরীরী শক্তি,
কান্না আটকে দিচ্ছে।
না,নুন ঝরানো যাবে না বলছে,
আমাকে আমার বোঝা বানাচ্ছে।
এই নুন,শরীর থেকে ঝরলেই যেন মুক্তি,
বুঝিনা,কেনো এই অশরীরী শক্তি?
কোথা হতে তার উৎপত্তি?
এই শক্তি,কেনো বাধাচ্ছে এত বিপত্তি?
শুনেছি,আমার একটা মন বা হৃদয় আছে,
সেটা নাকি পাথরে মুড়ে গেছে!
মানুষ,কী আজব,
মাথার উপ্রে দিয়ে যায়,কী বলে,যত্তসব।
একটা লাশ দেখতে গেলাম,
রক্তের সম্পর্কের লোক আমার,
কান্নার অভিনয় জানলাম না বলে,
আমাকে অপবাদ দিলো গুজিয়ে!
অথচ,তখন শরীরে যথেষ্ট নুন ছিলো,
তবু আবেগ কেনো যেনো,
অশরীরী’র কাছে হার মেনে গেলো,
এখানে আমার দোষ টা কী ছিলো?
আমার প্রেয়সী,যার রূপ মানে ছলনা,
সে যদিন আমায় বানালো,’মনা’,
অন্যের বীর্যলাভের লোভের বশে,
আমাকে ধোঁকা দিলো আপসে,
কেনো যেনো,কান্না এলো না,
অদ্ভুৎ!আমি কাঁদলাম না,
শরীরে অথচ সেদিনও,
যথেষ্ট নুন ছিলো।
কী এই অশরীরী শক্তি?
কী তার পরিচয়,
কী তার পরিনয়,
কোথা হতে হবে তার মুক্তি?
নুন বেড়েছে শরীরে,
প্রচুর কাঁদতে হবে,
মূত্র দিয়ে তো আর আবেগ ঝরে না,
ঝরলে হয়তো,সব কিছুই নিপাত যেতো!
আমি নুনের গারদ কমাতে কাঁদতে চাই,
কবি পরিচয়ে নই,প্রেমিক হতে মন চাই।
নেতিয়ে পড়া পৌরোষিক ভালোবাসা চাই,
অশরীরী ঐ শক্তির বুঝি কায়দাভাব নাই।
প্রেম,পিরীতি,কিংবা চল চাতুরী,
সব যেনো ঐ অশরীর’র বাহাদুরি!
আমি হতে,অশরীরী নিপাত যাক,
আবেগ আমার মুক্তি পাক।
এই অশরীরী শক্তি হতে মুক্তি চাই,
জানলে বলেন কেউ,এর কী উপায়?