কোনো এক বিকেলে আমাদের দেখা করার কথা ছিলো;
প্যারিস রোডে।
ঘাসের ঠোঁটে যেখানে ঘাসফড়িং দেয় স্বাধীন চুমু;
শান্ত শিশুর মতো যেখানের আবহাওয়া নিশ্চুপ,
বিকেলের প্রকৃতি যেখানে নববধূর সুখের মতো বিশাল,
যেখানে আমরা হাঁটতে চেয়েছিলাম আঙ্গুলের ফাঁকে সাহস রেখে।
সেদিন তোমার আর আসা হয়নি,
তোমার অপেক্ষায় প্যারিস রোড সেদিন আমায় সন্ধ্যার স্বাগতম জানালো;
তারপর থেকে টুকিটাকি, লাইব্রেরিতে ডুবে থাকা প্রতিটা চেহারায় তোমাকে মিলাতে পারিনি,
চারুকলা, শহীদ মিনার, কিংবা বধ্যভূমির কোথাও তোমার ছায়ার খোঁজ পাইনি।
তারপর কেটে গেলো একুশ বসন্ত,
আমাদের দেখা হয়নি প্যারিস রোডের কৌতূহলী মানচিত্রে;
যেখানে বাদামের কাগজে আমাদের স্মৃতি লিখে রাখার কথা ছিলো,
আমাদের কতটুকু মানিয়েছে-
পুকুরের পানি কে আয়না হিসেবে আমাদের ব্যবহার করার কথা ছিলো।
একুশ বসন্ত শেষে হঠাৎ একদিন তোমার দেখা;
সদ্য সাবালিকার পর্বে প্রবেশ করা এক বালিকার পাশে হাসি রেখে,
ঠিক সেই ওয়াদাবদ্ধ স্থানে;
যেখানে আমাদের স্মৃতি লেখার কথা ছিলো!
অনন্যা ইশফিয়া;
যে আমার ঠিকানায় রোজ চিঠি লিখে,
কখনও কলমের কালি তে ভিন্নতা রেখে লিখে,
কখনও আবেদনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে,
নামের পাশেও মাঝে মাঝে লিখে দেয় নিজস্ব উপনাম,
অথচ চিঠি খুললেই আমি দেখতে পাই লেখার আয়নায় একটি অবয়ব;
যে তোমার চুলের গন্ধে ঘুমের ঘরে নিজেকে রাখে নিত্য,
যার কপালে হাত বুলিয়ে ইশকুলে পাঠাও নিরাপদে পৌঁছার,
যার হাসিতে লুকাতে পারো তোমার সহস্র দুঃখের লাইন!
নুসাইফা;
যেভাবে তুমি প্রথম প্রেমিকের নাম ভুলে গেছো মেয়ের চেহারায় নিজের নাম লিখে,
তোমার মেয়ে তার বিপরীত!
যে তোমার নাম মুছে দিতে পারে আমার নামে তাকে লিখতে!
2021-10-24