বিদ্ধস্ত কোন নগীর ধ্বংসাবশেষে বসে একা;
হয়তো ভাবছো, আকাশ ফুঁড়ে আসা নীল নীল
কান্নায়; ফুরাচ্ছে মহাকালের ফাঁদ।
হয়তো ভাবছো, টঙের দোকান ভুলেছে রাজনীতিবিদ্যা আর
কাপড়ের দোকানে বেঁধেছে বাসা সভ্যতার মাকড়সা।
বিচ্ছিন্ন ভাবতরঙ্গে সমুদ্রের আদিতম সুখ, খোলস খুলে সাজাচ্ছো শামুকদৃষ্টিতে মগজের বিন্যাস।
ভাবছো, মানুষের জটলায় থ্যতলানো কুকুরের মগজ হাতে দীক্ষা নিচ্ছে একদল মতলবখোর।
অনন্তকাল ধরে জানছি, বৃষ্টিও বিষধর সাপ, যদি মেলে ধরতে না পারো হৃদয়— মহাআকাশও দিবেনা সাড়া কোন ইঙ্গিতের।
সমুদ্রমাঝে কিংবা পাহাড়ের সর্বোচ্ছ চূড়ায়— যদি মেলে ধরতে নাহি পারো হাত, বসতে না পারো হাঁটু গেড়ে কিংবা বন্ধ করে দু’চোখ দেখতে না পারো অসীমের সীমান্তরেখা— তবে হৃদয় কথা বলবেনা শরীরের সাথে৷
যুদ্ধশেষে যে শরীর বেঁচে থাকে, তার ভিতর লাল পিঁপড়ের ছায়া, দলে যেতে পারো দম্বে। ক্ষমা করার ক্ষমতা নাই, অভিচারী হবো রক্তে৷
স্মৃতিতে কেবল গোলাপ মুচড়ানো হাতের নগ্নতা। হয়তো বলে কিছু নাই, সত্যি সত্যি ভাবছি, আকাশ বেলাজ হয়ে পড়ে আছে পায়ের কাছে, আলস্যে ভাগাতে পারছি না, হে জন্মপরাগ, এসো, ভাগিয়ে নাও সমস্ত ফুলকার মেজাজ ও রাগ।