নিজেকে আজকাল গোরস্থান বলে ভ্রম হয়
যার ভেতরে পুরোটাই নিস্তব্ধতা ,
নির্জীব সকল স্বত্তা।
মাঝরাতে যখন নিজের কাছে ফিরে যাই
অশরীরী এক হাওয়া বয়ে যায় শিরদাঁড়া বেয়ে,
সে হাওয়ায় এলিয়ে যেতে সাধ জাগে
তবে একটু আলিঙ্গন করলেই বোধ হয়
এই বুঝি হারিয়ে যাবো।
আমার চারপাশে ঘুঁনে খাওয়া বাঁশের বেড়াগুলো
বড় নড়বড়ে হলেও সে দূর্বলচিত্তের সীমানায়
কেউ আসতে পারেনা ,
পেরোবার অবকাশ তো স্বপ্ন।
সন্ধ্যা বেলা নিজের দিকে তাকালে দেখি
কুঁপি বাতি দূর থেকে জ্বেলে কেউ কেউ
অন্ধকার কাটালেও আমার ভেতরের অন্ধকার
চিরতরে ঢুকে গেছে,
জাগতিক কুঁপিবাতির আলো কিংবা
আধুনিক বিজ্ঞানের বাতি কোন কিছুর
স্পর্শ ক্ষমতার বাহিরে আমি।
শেষ রাতে ঢুলুঢুলু চোখের কুকুর আর
জীবনীশক্তি চিবিয়ে পিষে ফেলা নাম না জানা
অগনিত পতঙ্গ, ঘন আগাছা, দূর্বাঘাস
এসবই আমার একমাত্র সঙ্গ।
আজকাল নিজেকে গোরস্থান বলে ভ্রম হয়,
লোহার সাঁড়াশি দিয়ে যেন চেপে ধরেছে
কেউ বুকের পাঁজর,
অস্ফুট বোবা গোঙানি আমার সমস্তটা জুড়ে।