শান্তি, শান্তি নিয়ে পদ্মাপারের উদ্বাস্তু গ্রামে যখন হাহাকার ছড়িয়ে পড়লো,
সুরাইয়া খানমের পিতৃ পরিচয়হীন সন্তান তোলা হলো নিলামে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপর্যাপ্ত রেশন নিয়ে লেগে গেল হুড়োহুড়ি,
সিরামিক রোড গলির বেশ্যালয়ের ক্লান্ত বারবনিতারা ভাতের দামে যোনী বিক্রির অবকাশে বসলো একে অপরের কাছে
আমরা দায়িত্ব নিয়ে জাতিসংঘে “শান্তি” শিরোনামে একটা বিবৃতি পাঠালাম – জানা গেলো পেন্ডিং,
পোস্টমর্টেম চলছে।
এরই মধ্যে এক রাষ্ট্রীয় মিছিলের সামনে ছুটে গিয়ে এক পাগল,
প্রচলিত আছে সে দুপুর সন্ধ্যা রক্ত বেঁচে মদ খায়;
ভারী উত্তপ্ত গলায় বললো, – “শান্তি একটা মিথ!”
আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ইউনিয়ন থেকে টাউনহল চত্বর বাক্যটি বয়ে বেড়ালাম!
পানশালায় দ্বারস্থ হলাম এক প্রাক্তন সৈনিকের কাছে
তিনি শান্তি বিলিয়ে দেবার আগ্রহে – ভারী আগ্রহে জানালেন,
“বন্ধুগণ, শান্তিকে ভালোবেসেই মানুষ যুদ্ধ করে।
কেবল শান্তির জন্য শান্তিকে ভালোবেসেই আমরা
তেত্রিশ হাজার শিশুর শবে রুটি পুড়ে খেয়েছি এবং নারীরা–
যারা অপেক্ষাকৃত সুন্দরী ছিলো এবং ধারণা করা যেতে পারে কোনো কোনো উন্মাদ কবির প্রেমিকা,
তাদের স্তনে সেঁটে দিয়েছি পারমাণবিক ছাপ!”
দৈনিক মাধ্যমে আসলো, “রাশিয়ায় ফের দূত পাঠাচ্ছে আমেরিকা, শান্তি চুক্তি হতে পারে
নির্বাচন, তারপরই হয়তো চালের দাম চলে যেতে পারে নব্বই দশকে,
মদের দাম নিয়ে সংশয় আছে! ”
অতঃপর শান্তি বিভ্রমের শ্রান্তি বয়ে
অপরাহ্নে ঠাঁই নিতে গেলাম প্রেমের কাছে
“বড় ক্লান্ত, কিছু আফিম দিতে পারো?”
প্রেম জানালো – সাদা পায়রা তার নাভির ডগায়,
কানে কানে ভেসে এলো,
“দিতে পারি, এই বিদায়ের পরই যদি ভুলে যেতে পারো!”