যেবার রামাল্লার মৃত জলপাই গাছের নিচে
জীবনের কথা বলতে গিয়ে
জোবায়ের প্রেমিকার ব্রেসিয়ার বেচে যুদ্ধে যাবার কথা বলেছিল, সেবার
বেথেলহামে তীব্র শীতকাল।
ফাতিমার সালোয়ার থেকে জমাটবদ্ধ রক্তে ঢেকে যাচ্ছে ওয়েস্টব্যাংক
আমরা, আমি আর তুমি জাতিসংঘের পতাকা হাতে চুমু খেলাম
আমরা দেখলাম গর্ভবতী বিধবার শিশু যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে,
আমরা দেখলাম শরণার্থী শিবিরে শিশুরা রুটি খাচ্ছে
আমরা দেখলাম পোড়া গন্ধের রেশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
গৃহস্থের ধ্বংসস্তুপে ফিরে এসেছে ভেড়ার দল
আমরা দেখলাম জেরুজালেম গিলে ফেলছে বসন্ত
আমরা দেখলাম পিদিমে বুকে বুক ঠেকিয়ে
পাশাপাশি খেলা করছে জন্মমৃত্যু!
তবুও জোবায়ের কেন যুদ্ধে যাবার আগে
প্রেমিকার স্তন মুক্ত করে দিতে চেয়েছিলো,
তার উত্তর পাবার আগেই জোবায়েরের লাশ
পাওয়া গেলো খান ইউনূসে।
তারও বহুদিন পর হেলেনের টেবিলে চা খেতে খেতে
এপি’র “কাঁদছে ফিলিস্তিন” প্রতিবেদনে সদ্যমৃত মাতার দুগ্ধে
সন্তানের চুমুক দিতে দেখে
আমরা তাজা জলপাই পাতা খুঁজতে বেরিয়েছিলাম।