অয়োময়ি,
এর চেয়ে বরং তুমি আমি
হতে পারতাম, একজোড়া সাদা-কালো পাফিন।
তবে পুরো আটলান্টিক-ই হয়ে যেত আমাদের
বেঁচে থাকবার স্বাধীনতা।
আমাদের কোন পৈচাশিক রাজা থাকত না,
ভোট বাকসো ডাকাতির গল্প থাকত না।
কোন স্বেচ্ছাচারি স্বৈরশাসক তার
সংকীর্ণ সীমান্তরেখায় বাঁধতে পারত না
আমাদের ডানার কাঁপন।
তখন আদিগন্ত জলরাশির ওপর
সীমাহীন নীল আকাশটা হতো
আমাদের ট্রাফিকবিহীন রাস্তা।
হোক না একটু নীল।
তবু এই দুশ্চরিত্রদের শহরে,
দমবন্ধ কংক্রিটের, মিথ্যে সফেদ খোঁয়াড়ে,
কারো বেধে দেয়া ডাল-ভাতের-
জটিল অর্থনৈতিক সমীকরণ,
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে আর মেলাতে হতো না আমাদের।
সবগুলো হলুদ বসন্তে
যে কোন সবুজ পাহাড়ে।
আমরা কেবল চুকিয়ে প্রেম করতাম
কিন্তু তখন আর
তোমার খুব গাঢ় কমলা রঙের ঠোঁট,
জুসের মত চুষে খাবার দায়ে
সে সময় কোন সামাজিক লম্পট
এতটুকুও সাহস পেত না
একটি অশ্লীল গালি দেবার।
আমাদেরও ছানা পোনা হতো
একেবারে আমাদের মতো।
কিন্তু সে ভ্রূণের বৈধতায়
কখনো প্রয়োজন হতো না
কোন বিচারিক আদালতের
অযৌক্তিক সনদপত্র।
কী ভালোই না হতো, অয়োময়ি।
ধরো-
আমাদের কোন গণ কিংবা
সোস্যাল তন্ত্রের যন্ত্রণা নেই।
কারো বুটের খচখচ কিংবা
বন্দুকের নল নেই।
কাঁটাতারের কারাগার কিংবা
সাংবিধানিক বাধ্যতা নেই।
ভাইরাসময় লকডাউন কিংবা
আইসোলেসনও নেই।
আমাদের কোন দ্বিধা নেই
সংকোচ নেই
লোক দেখানোর হিপোক্রেসি নেই।
আমাদের কেবল বেঁচে থাকা
যেটুকু সময় গুনে গুনে হয় জীবন
তার পুরোটাই খুব চোখ লাগিয়ে
বেঁচে থাকা।
কেবল সত্যিকারের বেঁচে থাকা।।
2020-06-15