কি বলব, বলুন তো?
কখনো কোন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে
যাই নি মিছিলে,
ব্যানার লিখে দাঁড়িয়ে পরিনি
কোন মানব বন্ধনে,
কিংবা জুস খেতে খেতে
আমরণ অনশনে শুয়ে পরিনি
কোন শহীদ চত্ত্বরে।
কেননা, সত্যি বলতে,
আমার কোন দাবী নেই।
ছিলো না কোথাও কখনো।
আচ্ছা ঠিক কার কাছে দাবী করব, বলুন তো?
এই যে একটি কালো ছেলে
মরে গেল,
কিংবা, কেউ মেরে ফেলল বলে,
কেউ কেউ খুব উত্তাল রাজপথে।
এই যে একটি হাতি
মরে গেল,
কিংবা, কেউ মেরে ফেলল বলে,
কেউ কেউ পকেট ভর্তি মানবতা নিয়ে
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে।
এই যে করোনা করোনা করে
কেউ একে দোষ দিচ্ছে
ওকে শুধরাচ্ছে।
কেউ কেউ ভীষণ চিন্তিত
কে কোথায় ধর্ষিতা হলো,
কে কোথায় লাঞ্ছিত হলো,
কার কোন মৌলিক কিংবা
যৌগিক অধিকারে টান পরলো
কার মানবতা লুণ্ঠিত হলো
কোথায় কে ট্যাংক পাঠালো
বোমারু বিমান ঝাঁপিয়ে পড়ল।
কোন সমুদ্র দখলে কার ক’টা রণতরী,
কিংবা পরম আণবিক মিসাইল দিয়ে
কে কতটা পারে,
খেলতে।
দিন শেষে, আজ কোথায়
ঠিক কত শত মানুষ মরলো।
ও নিয়ে আমার কোন চিন্তা নেই,
দাবী নেই।
করিনি কখনো।
কেননা ওসবে আমার
কোন সুখ নেই, জানেন তো?
দুঃখও নেই কোন।
কেননা আমি কোন নেতা
কিংবা পাতি নেতা নই।
হতে চাই না কখনো।
আচ্ছা, মানুষ তো জন্মায়
কেবল মরে যেতেই।
মানুষ তো আসে
কেবল চলে যেতেই।
তাতে কবে কার ক’টা বাল ঝরলো,
বলুন তো।
আচ্ছা ধরুন কার ক’টা শুক্রাণু
কবে পরে মরে গেছে
সে হিসেবও কেউ কি রাখে, কখনো।
কী, খুব অবাক হচ্ছেন বোধ হয়
শুক্রাণু সেও কি মানুষ না কি,
ডিম, সেও কি পাখি?
তো।
কোন দাবী নেই।
রাখিনি কোথাও কখনো।
যাদের কাছে আমার জন্ম এবং মৃত্যু
কেবল একটি অঙ্ক মাত্র।
যারা আমাকে সৈনিক করে লুটেছে ক্ষমতা মাত্র,
আমাকে শ্রমিক বানিয়ে গড়েছে সাম্রাজ্য,
কিংবা আমার এ আঙুলের ছাপ চুড়ি করে
বসেছে সিংহ চিহ্নিত আসনে।
এবং আমার ই কাঁধে পা রেখে
দুলিয়েছেন খুব।
আর বুঝিয়েছে, রাষ্ট্র।
কিংবা রাষ্ট্রীয়
অর্থ ও নৈতিকতার বড় বড় সব বাজেট।
সেসব সিংহ চিহ্নিত গাধাদের কাছে
আমার কোন দাবী নেই।
এবং আমি নিশ্চিত
তা থাকবে না কখনো।
এর চেয়ে বরং
আমি চিরদিনই দাবী রাখি
কপলের ঠিক নিচে,
উর্বশীর ঐ ছোট্ট আঁচিলে।
কেবল ওখানেই যে আমার
কিছু কিছু দাবী খুব পুর্ণতা পায়।
খুব পুর্ণতা পাবে, জানি।