এই অঙ্কিত সময়ের প্রতিচ্ছবি ঘেঁষে,
এই সেলুলোজ প্রাচীরের অন্তরালে,
এই চুন পাথরের কঙ্কালে
আমি বোধ হয়, এখনো
কোন জলজ্যান্ত মানুষ?
আমার প্রাণ আছে?
কেমন সে প্রাণ?
কোন ঘুনে পোকা?
ভ্রমরার মত গুঁন গুঁন গান?
তার কত পাখা?
উড়ে উরে করে সুর?
আহা কী সুমধুর,
শুনে শুনে মনে হয়,
নাহ্ আছে।
প্রাণ আছে।
কোন বদ্ধ ঘরময়।
সে দরজার কপাটে ঝোলানো
চোখ তার,
অথচ চোখে দেখি, ঠিক
যতটুকু অন্ধ নই।
যতটুকু ঠাহর করে প্রাণ
যত অনুভূতি
একাকার কোন বৃত্তাকার
শূণ্য ঘুরে, তার
সেন্ট্রাল বিন্দুতে।
মন আছে।
অথচ মনে আনি ঠিক
যতটুকু মনে পাই
ভালোবেসে যাই, চোখ
তার, নীরবে বীথিকা জুঁই
তুলে রাখি, আমার
একান্ত ব্যাসার্ধে।
মানুষ আছে।
অথচ মানুষের মুখ, দেখি
ঠিক যতটুকু দেখি নাই
যতদিক থেকে দেখি
ততখানি ভিন্নতায়, মনে হয়
এক একটি আলাদা মানুষ ।।