চোখের পলকে বড় হয়ে যাচ্ছে সময়।
অবন্তীকার গা থেকে
টুপটাপ করে খসে পরছে ইতিহাস।
একটা রেল লাইন হুরমুর করে
ঢুকে পরছে আমাদের দাঁড়াবার ঘরে।
আমরা, এখন কোথায় দাঁড়াব?
তবুও ভাতের মারের মতো
উত্লে উঠছে ভালোবাসা।
ভেহেস্তের বুকে জন্ম নিচ্ছে গন্ধম।
জীবনের পোঁদ মারছে মৃত্যু।
আর আড়িখোলার পাড়ে
সারা রাত ধরে বেজে চলেছে কীর্তন
‘জয় শ্রী রাধে গোবিন্দ সঙ্গম।’
‘জয় শ্রী রাধে গোবিন্দ সঙ্গম।’
গল্পটা ছিল সমান্তরাল।
মরদটার মাথা ভর্তি ছিল জরায়ু।
আর মাগীটা খুব ছেনালি করে
ভাঙা আয়না হাতে
ঠোঁটে মাখাচ্ছিল লিপগ্লোপস।
অতঃপর
সোস্যাল ফুটপ্যাথ,
আইনের শাসন,
নৈবেদ্যিক ন্যায়পাল,
নিও ক্লাসিকাল ইকোনমি,
রেন্ডিয়ান পেঁয়াজ,
নিউইয়র্ক টাইমস,
ভ্যাটিকান সিটি,
প্লাস্টিক সেক্স,
ক্রুশবিদ্ধ যিশুর পেনিস,
গণতান্ত্রিক সুখ। এবং
মাওলানার সুললিত কন্ঠ
‘ফি নারি জাহান্নামা খালেদিনা ফি হা।’
হ্যালো হ্যালো হ্যালো
মাইক্রোফোন টেস্টিং
হ্যালো হ্যালো হ্যালো।
ওয়ান টু থ্রি।
ওয়ান টু থ্রি।
‘দেখুন আমি কিন্তু মন্ত্রীত্ব চাইনি।
আমি কেবল বুঝতে চেয়েছি মানুষের কষ্ট।
আমি কেবল দেখতে চেয়েছি
মানুষ কিভাবে কাঁদে।
অথচ দেখুন,
আমাদের বেহায়াপনার জিডিপি
নিজ থেকে নেমে যাচ্ছে আরো নিচে।
আমাদের উন্নয়নের সড়কে
মুতে দিচ্ছে কিছু নেউলে কুকুর।
আমাদের শিকষা ব্যবস্থায়
বদলে যাচ্ছে কেবল শব্দের বানান।
দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বিমোচনে
আমরাই প্রথম দিচ্ছি গম।
তাই দয়া করে আর ভোট দেবেন না।’
পোঁ পোঁ পোঁ।
একটা রেল লাইন হুরমুর করে,
ঢুকে পরছে আমাদের দাঁড়াবার ঘরে।
আমরা এখন কোথায় দাঁড়াব?