এই জনাকীর্ণ ক্যাফেটেরিয়ায়।
এই সিলিকন ফ্রেমে বন্দী
ডাল ভাতের রেস্তরাঁয়,
এই মাছের বাজারে অথবা
অনাকাঙিক্ষত জ্যামে আটকে পরা
ফ্যাবিকল সময়ের রেখায়।
বেঁচে থাকবার জন্য আর
কিই বা প্রয়োজন, ইরাবতী?
তোমার ডান চোখের পাতা?
ডান হাতের কনি আঙুল ?
কাঁকড়ার ফোকর গলিয়ে
বেরিয়ে পরা এক গুচ্ছ সোনালী চুল?
অথবা এক দীর্ঘ গল্পের জীবন?
নাহ, কোন উত্তর নেই।
যতটুকু কানে বাজে,
কেবল হাইড্রলিক হর্ণ।
কেবল ইঞ্জিনের ঘোঁৎ ঘোঁৎ।
কেবল যাত্রীর দর কষাকষি, আর
চামরার মানিব্যাগের বিজ্ঞাপন।
এবং মাছির পাখনার মতো
মানুষের অবিরত কথার গুঞ্জন।
আট মাত্রার নিকটিনেও তাই
আর কাটছে না আমার
ভয়াবহতম ইনসমনিয়ার ঘোর।
মাটি থেকে মাটি হয়ে যাচ্ছে সব।
শব্দের কাছাকাছি কোথাও কেবল
বিষাদের কবিতা হয়ে উঠছে
এক আধ গ্লাস কেরু এন্ড কোং।
স্মৃতির ডিনামাইট ফেটে বিস্ফারিত
আমার নিঃশ্বাস নিঃশব্দে পুড়িয়ে দিচ্ছে
হেরে আসা শেষ,
সবকটা যুদ্ধের দলিলপত্র।
এবং আমি পরাস্ত এক সৈনিকের
ক্ষত বিক্ষত শরীর বয়ে নিয়ে প্রতিরাতে
ফিরছি তোমার ঘরের দাওয়ায়।
তৃষ্ণায় ফেটে যাচ্ছে আমার বুক
অথচ তুমি বলছো,
ইলেকট্রিসিটি নেই।
আবেগে চুয়ে পরছে আমার চোখ
অথচ তুমি বলছো দুঃখ নেই।
আমি সুদ্ধ চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে
একটা আস্ত হেমোটক্সিক পৃথিবী
অথচ তুমি বলছো
আগামী বিকেলে খুব বৃষ্টি হবে,
দেখে নিও।
তুমি একটা খুনি, ইরাবতী।