অয়োময়ি,
ধরো যদি আরো একশ বছর বাঁচি
তুমি, আমি খুব কাছাকাছি।
ঠিক ক’ঘন্টা পারবে?
চোখে চোখ রেখে ভালোবাসতে?
এই ধরো, হয়তো ঘুমিয়েই কেটে যাবে
আমাদের অর্ধশত বছরের রাত।
তারপর, রোদ ফুরোবার আগে
বাকি থাকে যতগুলো অন্তিম দিন
পৃথিবীর এই জটিল অর্থনীতি
তার প্রায় পুরোটাই কেটে নেবে
সুদ সমেত যার সবটুকু ঋণ।
শহরের ট্রাফিকে জমে জমে
আমাদের খুব কাঙ্ক্ষিত সন্ধ্যা গুলো
হয়তো অজান্তেই হয়ে উঠবে ঘন রাত।
জানালার পর্দায় বাধা পেয়ে ফিরে যাবে
একাদশীর সবক’টি অদেখা ঝলমলে চাঁদ ।
একছাদে জোতস্না বিলাস কখনো হবে না।
তখন রিমোট কন্ট্রোল হাতে টিভি স্ক্রিনে
হয়তো সেঁটে থাকবে আমার চোখ,
আর তুমি হয়তো ভীষণ ব্যস্ত
গৃহস্থালীর রান্নায়, ধোঁয়ায়-মোছায়।
স্ক্রলবারের নিউজ হেডলাইনের মত তখন
ভেসে ভেসে মিলিয়ে যাবে
হাতে হাত রেখে আমাদের
বসে থাকবার সব সিলভ্যান অভিপ্রায়।
জানি। মাঝে মাঝে বহু দূর থেকে হেঁটে আসা
ছুটির দিনগুলো কেমন না বলেই চলে যাবে
আমাদের খুনসুটি আর ঝগড়ার অভিমানে।
তবু হবে না এতটুকু ফুসরত কারো
কোন গোধূলি বেলায়
দুজনে পাশাপাশি কিছুক্ষণ হেঁটে আসবার।
অয়োময়ি,
তবু বিশ্বাস করো এ আমাদের
একরত্তিও অবহেলা নয়,
অথবা এজন্য আমরা কেউই অপরাধী নই,
ছিলো না আমাদের প্রেম কখনোই
এই এতটুকুও প্রবঞ্চিত।
কিন্তু কি জানো তো?
কাছে আসতে আসতে
যদি কোন অবজেক্ট কখনো
ছুঁয়ে ফেলে চোখের পাতা
তাকে আর কোন ভাবেই
চোখে দেখা যায় না।
কাছে টানতে টানতে যদি কোন প্রিয় মুখ
বিঁধে যায় এরেবারে বুকের ভেতর
তাকে আর কোন ভাবেই
কাছে টানা যায় না।
তবু আমরা বেঁচে থাকব, অয়োময়ি
আমরা বেঁচে থাকতে চাই-
ঠিক এভাবেই,
এমনি করেই।
শত বছরের পরও যদি
কেবল কিছু ক্ষণিক মুহূর্ত হাতে পাই কখনো
ঠিক এই এতটুকুই বলবার-
ভালোবাসি।।
2020-06-16