তোমাকে হারাবার পর, কী আশ্চর্য !
কি জানি কোথাও, কথারাও হারালো।
তোমাকে হারাবার পর, কী আশ্চর্য!
কি জানি কোথাও স্মৃতিরাও থমকে দাঁড়াল।
অথচ দ্যাখো,
তোমাকেই তবু চেয়ে বসছে,
আমার সবটুকু সময়।
কেবল তোমাকেই দেখবে বলে
বায়না ধরছে আমার চোখ।
তোমার বুকের মধ্যেই লুকোবে বলে
বেহায়া বুকখানি জমিয়ে রেখেছে,
তিরিশ বছরের শোক।
অতন্দ্রিলা,
তোমার তো মেঘ হবার কথা ছিল না কখনোই।
অথচ তুমি, আমার তৈলাক্ত বালিশ হতে হতে
আমার ময়লা করা বিছানার চাদর হতে হতে
আমার জানালার পর্দা,
তারপর গ্রিলের ফোঁকর গলিয়ে
কি জানি কখন যে চলে গেলে,
মিশে গেলে বায়ুমল্ডলে।
এরপর একে একে ট্রপোস্ফেয়ার,
স্ট্যাটোস্ফেয়ার, মেসোস্ফেয়ার পেড়িয়ে,
বোশেখের এই তীব্র দাবদাহে।
তুমি এখন খুব হালকা আর শুভ্র মেঘেদের দলে।
অথচ, তুমি আমার পানির বোতলে
প্রচণ্ড তষ্ণায় রোজ সকালে অথবা বিকেলে
দু এক ঢোক জল, হলেও পারতে হতে।
অথবা আমার ভাতের পেলেটে
তোমার আঙুলের ছাপে স্বাক্ষর রেখে যেতে,
চিংড়ি মাছের সাথে কচু শাকে,
কিংবা কাঁচা আমের সাথে মসুরের ডালে।
কিন্ত না, তুমি হতে চাইলে,
তোমার একান্ত ব্যক্তিগত সংসদীয় গণতন্ত্র,
একক ভোটে নির্বাচিত এক স্বাধীন রাষ্ট্রীয় সরকার।
বার্ষিক বাজেট পরিকল্পনায় বর্ধিত ভ্যাট,
উন্নয়নের মহাশূন্যে ছুটতে থাকা ম্যাট্রো রেল,
কিংবা কেবল তোমার নিজস্ব অর্থায়নেই
নির্মিত একমাত্র পদ্মা সেতু।
তুমি হতে চাইলে, বেগম পাড়ার ডুপ্লেক্স,
সুইস ব্যাংকের একাউন্ট,
ভ্যান্টাব্ল্যাক মার্সিডিস,
রেড পাসপোর্ট কিংবা দৈত্ব নাগরিকত্বের
সাংবিধানিক অধিকার।
তোমাকে আর,
তাই পাওয়া হলো না আমার।।
আপনি অনেক সুন্দর লেখেন l আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো l আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো l