ছাতিমগাছের নিচে বয়েস গুনছে যে_
সে হাতে নাড়ী কেটে জন্মোৎসব আরম্ভ।
জন্মের পরেও যে জনম তার ঘুম:
তৈল প্রদীপে নৃত্য করেছে আগমনী ক্রন্দন।
ছাতিমফুল নুয়ে পড়ছে আরাধনা সঙ্গীত।
মেহফিল-ই-শোকরান গাইছে বাঈজী।
নিজস্ব প্রেমিকা না থাকার ক্ষোভে ঈশ্বর
ললাটে আজন্ম বৈরাগ্যের রব এঁকেছেন।
মাতৃদুগ্ধ পুষ্ট সাবক গোবি’র বুকে ত্রাস করছেন বলে_
শরাবের অভাবে চৌচির হয়ে আছে প্রেমিকার নাভী।
কক্ষপথ বেয়ে আরেকটি হিম জড়ানো প্রভাত।
আয়ুরেখা অঙ্কে বাড়ছে দাবানল পুড়িয়ে ফুসফুস।
ক্রন্দন-হাসি-ক্ষুধা-চিৎকার-যুদ্ধ-দূর্ভিক্ষ-কাঁটাতার
সাইরেন বাজিয়ে ছুটছে মুমূর্ষু প্রসবকালের যন্ত্রণা।
রক্ত আর জন্মের ঋণ শোধ করা যায় না বলে_
মানুষ কেবল সাঁতরে বেড়ায় প্রেম সায়রে।
ক্ষমা করে না প্রকৃতি পাপাচার।
ছাতিম গাছের নিচে বসে গুনছে যে_
সে হাত
বিচ্ছেদের পরেও মুক্ত করে
জন্ম থেকে জন্মান্তরে।