কার হাতে তুমি ধর্ষিতা?
কার হাতে তুমি ধর্ষিতা?
জননী বাংলাদেশ?
ওরা তোমার ক্রোড়েই বেড়েছে
হেসে খেলে।
মুখে মুখোশ, দেহে নিপুণ ছদ্মবেশ,
ধর্ষকামীরা দল বাঁধে একা পেলে।
ঘুমোঘোরে মা নিরাপদ হতে হতে,
ঘুম ভেঙ্গে দেখি ডাকাতের চেহারা।
রাজপথ আর পাহাড়ী বুনোপথে,
ক্রন্দন শুনে মাঝরাতে জাগে পাড়া।
অভাবের দায়ে জীর্ণ কুঠির খানা,
বিধ্বস্ত দ্বারে হায়নার লোভী চোখ।
স্বাধীন দেশে এ কোন পাকির হানা?
সব মানুষের দাবী দোষীর শাস্তি হোক।
কেউ আজ খুব বিদ্রোহী হাবে ভাবে,
ঝেরে দেবে কেউ কঠোর প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
কঠোর ভাষা কঠোরতায় পাল্টাবে,
খুঁজবে অপরাধির দলীয় শক্তি।
মিডিয়া বিপ্লবী সরব ফেসবুকে,
রাজপথে আরো প্রতিবাদ সভা চাই,
সহনাগরিক কবিতা লিখছি দুঃখে,
অস্ত্র বলতে কবির আর কিছু নাই।
ক্ষীণ আশ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার,
দোষীকে আমরা ধরবই হাতেনাতে।
ভয় নেই, পাশে আছি পাহারাদার,
শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট না হয় যাতে।
চলো কবিতাকে পুড়ে ফেলি সবাই,
পঙক্তিগুলো জ্বলুক অল্প আঁচে।
উপত্যকায় ওড়াই ভষ্ম ছাই,
চুপ থাকালেই বাকস্বাধীনতা বাঁচে।
ধর্ষণ ধারাবাহিক দেখি চোখ মেলি,
কেউ দূর বসে ক্রমিক সংখ্যা গুনি।
কেউ জলে না নেমেই জলকেলি,
তীরে বসে কেউ ঢেউয়ের শব্দ শুনি।
আশ্বাসে যদি পোষাতো কারো ক্ষতি,
এ তো দীর্ঘদিনের পুরোনো অভ্যেস।
সব কিছুরই আছে শেষ পরিণতি,
প্রতিদিন ভোরে বলছি, চলছে এইতো বেশ।