আমি ধর্ষিতা
নাম,সুস্নিগ্ধা বাংলাদেশ
একাত্তরে জন্মেছি, হিংস্র জানোয়ারদের হাতে ধর্ষিত হওয়ার সৌভাগ্য নিয়ে।
পহেলা,
সুবহে সাদিক থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করে রাত গভীর হলে কালো আঁধারে, টর্চ লাইট হাতে বাবা আসেন, আমার নরম দেহ খুঁজতে।
দ্বিতীয়া
রাস্তায় উত্ত্যক্ত করা বখাটেদের চোখ এড়িয়ে সাবধানে বাড়িতে নিয়ে এসে বড়ো ভাই, নির্বিঘ্নে আমার মোটা কাপড় খুলে মিটিয়ে নেয় পুরুষ জন্মের স্বাদ।
রাজপথের মিছিলে ” ধর্ষকের বিচার চাই ” স্লোগানে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে এসে ছোট ভাই, দশ আঙ্গুলে চেপে ধরে আমার স্তন চুষেই তৃষ্ণা মেটায়।
তৃতীয়া
ব্যথার চিৎকারে পাশের রুম থেকে ছুটে এসে স্বকামি বোন উত্তজনায় আমার যোনিপথ ছিঁড়ে ফেলে।
আমি রক্তাক্ত হয়ে দৌড়ে মায়ের কাছে বিচার চাইতে গেলে, মা-ও আমার হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে দেহ ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।
এভাবে পালাক্রমে প্রতিদিন ১৭ কোটিবার ধর্ষিত হই।
সমাজ আমার গায়ে কলঙ্কের সিলমোহর মেরে দেয়,ছুঁড়ে ফেলে দিতে চায় নরকের শেষ স্তরে।
অথচ, মা আমাকে জন্ম দিয়েছিলো স্বর্গ ফুলের সুঘ্রাণ নিয়ে বাঁচতে।
এক কথায়, মনোমুগ্ধকর। সর্বনাশ! কী দুর্দান্ত আর শক্তিশালী ভাবনার কবিতা। চমৎকার। 🔥
লেখিকার ফেসবুক আইডি পাওয়া সম্ভব? উনার লেখা আরো দেখতে চাই।