বুকের প্রতিটি কোমল পশমের গোড়ায় কালো দুঃখ গুলোকে মখমল সুতো দিয়ে সেলাই করে, আহত ডানা ঝাপটে পৃথিবী ঘুরেছি।
দুঃখী গলার নীল সুরে গান গেয়েছি-
পথে প্রান্তরে, অরণ্যের শিখর ডালে
ভাঙা জানালায়, ছাদের কোণে,
পুষ্প টবে,দেয়ালের চূড়ায়।
লোনা পানি, মিঠা পানি,প্রবাহমান নদী,
সমুদ্রের ঢেউতে লাল ঠোঁট ডুবিয়ে দেখেছি।
জানালার গ্রিলের ফাঁকে ঢুকে চিকন ঠোঁটে রংপেন্সিল নিয়ে আকাশের দেয়ালে শত কোটি ছবি এঁকেছি।
ভেজা পালকে কালি মেখে ডায়েরির শেষ পাতাগুলোতে কতশত কবিতা লিখেছি।
হাজারবার কাটাছিড়া করে চোখের জল ফেলে কত চিঠি ডাক বাক্সতে জমিয়েছি।
প্রাচীন বট বৃক্ষের আড়ালে জাদুকরী আয়নায় চারপাশ ঘুরে দেখেছি- কোথাও কেউ নেই, নেই কারো সাড়াশব্দ, নেই কোনো
পদচিহ্ন, নেই কোনো ছায়া;
শুধু দেহের ভেতরে একটি আপেলের গোল বৃত্তে
কমলা রঙে অঙ্কিত করা একটা নাম, একটাই ঠিকানা।
বহুপথ পাড়ি দিয়ে, বহু নদী পেরিয়ে, এসেছি আপেলে অঙ্কিত ঠিকানায়;
চলো শালিক, আমরা নতুন করে বাসা বাঁধি নতুন ঠিকানায়।