একটু দূরেই সাদা পেয়ালা ভর্তি আমার সুখেরা রোদের আলো পড়া বালির মতো চিকচিক করছে।
আমি সাতরঙা পাথর গাঁথা সোনালী নুপুর পরে স্বপ্ন পাখিটি কাঁধে নিয়ে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি পেয়ালাটি হাতে নেবো বলে।
কাছাকাছি চলে এসেছি আর আড়াই ইঞ্চি পথ বাকি;
একটা কালো দড়ি পেছন থেকে টেনে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে, কাঁধ থেকে স্বপ্ন পাখিটিও মাটিতে পড়তেই উড়াল দিয়েছে।
মাঠের খেলা শেষে সন্ধ্যায় শিশুকে ঘরে ফিরিয়ে নেয়া মায়ের আহ্লাদী সুরে সুখেরা আবার ডাকছে কপালে চুমু আঁকবে বলে;
আমি দৌড়ে যেতেই সমানে বিশাল দেয়াল উঠে গ্যাছে।দেয়াল ভেদ করে যাওয়ার ক্ষমতাও আমি হারিয়ে ফেলেছি।
ক্ষানিক বাদে দেয়ালের ওপাশ থেকে দীর্ঘাকৃতির একজন আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার হাত বেঁধে দিয়েছে তারপর একটি কালো জরজেট ওড়না দিয়ে আমার চোখ বেঁধে দিয়েছে।
আমি আবছা দেখছি আমার সুখ গুলোকে সে গোলাপি ফতুয়ার পকেটে ঢুকিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
আমি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছি “আমার সুখ ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও” সে শুনেও শুনছেনা, দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে তাঁর গন্তব্যে;
আর আমি সেখানেই গড়াগড়ি করে কাঁদছি।
কোথাও কেউ নেই, শুনছেনা কেউ আমার আর্তনাদ,দেখছেনা কেউ আমার ভেতর ফেটে যাওয়া রক্ত।
শুধু অদৃশ্যে ভেসে আসছে ” তুই পাপী, এটাই তোর পাপের শাস্তি “।