তোমরা ফাঁসি চাও?
আমার চাওয়া খাঁচা,
নগরীর সৌচাগার বাগারের পাশে
পায়ে-হাতে শিকল বেড়িয়ে
আমরণ আবদ্ধ করো
লৌহ-ইস্পাতের পৈশাচিক সেলে,
মানুষ নয়,কুকুর কাকেরও
যেখানে স্বাধীন বিচরণ।
সাহেবি বিড়ি ফুঁকা
চত্বরের চেনা মুখ
জরাজীর্ণ রহিম পাগলা,
প্রিয়তমার শেষ চিহ্ন
আগলে রাখা প্রিয় চিরকুট ফেলে,
প্রেম ভুলে চরম ঘৃণায়
ভয়াল চিৎকার হুংকারে
নিয়মের গরম জল
রোজ ঢালোক তুমুল উল্লাসে
পঁচা মগজের নিকৃষ্ট মুখগুলোতে।
সকালের পদযাত্রিরা-
সূর্যের আলো মেখে সন্ধ্যে ঘনিয়ে
যে পথ হয়ে রাত্রিরে ফিরে নীড়ে,
সেই পথের বাঁকে আবদ্ধ রাখো নরকের কীট বিকৃত মস্তকের
সবকটা ধর্ষক নব্য ফেরায়োনদের।
জীবনের প্রারম্ভে
জননীর আঙ্গুল ধরা
স্কুলগামী ছোট্ট শিশুও যেন
চরম ঘৃণায় থু…থু ফেলে
শহরের পিশাচ সেল
এই মানব বর্জ্যে।
হে প্রতিবাদী জনতা,
মৃত্যু ওদের মুক্তি দেয়
চাই না আমার ফাঁসি,
আমার চাওয়া খাঁচা,
চাই নিশ্চয়তা, বিভৎস কল্পনার
এই পিশাচ-সেল বাস্তবতা।