নমঃ নমঃ করে এগিয়ে আসিলেন রবীন্দ্র,
বসে ভাবেন সাম্য যেখায় আমি নজরুল সেথায়
কবে তার কথা ভেবে প্রেম মগ্ন জীবনানন্দ,
বনলতার প্রেম কুড়ায় কবিতার ঝড়ে।
শত বর্ষ পেড়িয়ে কবি পরিষদ সভা।।
তবে রুদ্র কোথায়?
সর্বনাশা কবিতা তাকে জীবিত হত্যা করিয়েছে?
তোমার ভূবণে মরিতে নাহি চাই
বাঁচিতে-ফিরিতে তোমায় নমস্কার জানাই
কতকাল ধরে লিখিনি কবিতা তোমার পানে
মম অক্ষিলোম তোমার সনে
তুমি মরে ভুলিও না কভু
স্তব্ধ পথে খটখট শব্দ প্রতিধ্বনিতে উপস্থিত মহিয়ান কবি
বিদ্রোহ সঙ্গীতে বলছে তাঁর প্রতিচ্ছবি
আমি কিছু মানি না,করি না অন্যায়ের আপোশ
সভ্যতা, ভদ্রতা লোপ পেয়েছে কবিতার স্তবক
মৃত প্রায় উন্মাদ কবির অলিখিত কবিতার সংস্কারক
চুপ করে কেন কবি?
শুনাও তোমার বিদ্রোহী কবিতার ঝড়ের প্রতিধ্বনি।
অগ্নিবীণা,বিষের-বাঁশি সর্বোপরি অমোঘ সৃষ্টি।
তমঃ নজরুলের কীর্তি
প্রেম তবে মিথ্যে তোমার তরে,
বনলতার প্রেম নিশার-স্বপন
রূপসা নদীর পাড় তবে চোরাবালির ক্রোধ
হারিয়েছে সব কবিত্বের স্রোত।
তবে, তুমি খুঁজে দেখ জীবনানন্দের কবিতার বোধ।
মিথ্যেবাদী কবিতা আমৃত্যু কারাদন্ডে দন্ডিত হক
চূর্ণ-বিচূর্ণ যত্রতত্র নিষিদ্ধ কাব্যের ভষক
যে আসুক না আসুক কবি পরিষদে,
মিথ্যে কবিতার প্রস্থান বাধ্যতামূলক
কবি-রা উন্মাদ! কবি-রা যাযাবর!
কল্পিত কাব্যে কবি-রা পাগলামির কারিগর
জাতে-পাতে নাহি ব্যবধান কবি-রা সব অবিনশ্বর
কবিতার ছলে কবি-রা নন্দিত রূপের অধিকারী।
কঠোর পদ্যে কবিত্ব লাগছে বড্ড ভারী,
শত বর্ষ পেড়িয়ে কবি পরিষদ সভা।।
মস্ত চেয়ারে পড়ে আছে নিছক দেহতরণী
কলম কালি সর্বোপরি অকরণী
আবার, ফিরবে তুমি-আমি
ফিরবে নজরুল হইতে রবি।
ফিরবে সব উন্মাদ কবি
রয়ে-সয়ে থাকবে শত বর্ষীয় কবি পরিষদের ছবি
শত বর্ষ পেড়িয়ে আজ কবি পরিষদ সভা।।