দাদা, আমি এক মূর্খ্য-সূর্খ্য মানব
ক,খ, এইটুকুতেই হোঁচট খাই,
সাদা-সিধা কাঙালি আমি,কোথায় যে ভাত চাই!
আমারি ঘরে অভাব,
দাদা, তাতে তো হয়নি আমার স্বভাব নষ্ট!
প্রথাগত বলে যে “অভাবে স্বভাব নষ্ট”
কই? না তো!
দিন-রাত খাটছি, মরছি,করছি কষ্ট,
তাতে তো হয়নি আমার স্বভাব নষ্ট।
দাদা, আমি এক মূর্খ্য-সূর্খ্য মানব
আমি বাংলায় বলি, বাংলায় চলি
বাংলায় দুলি, বাংলায় মরি।
দাদা, আমি তো গাদ্দরি করি নি!
আমি তো অন্যের প্লেটের বড় মাছের মুন্ডে লোভ করি নি!
আমি তো ক্ষুধা নিবারণে চুরি করি নি!
আমি তো অন্যায়কে ন্যায়,
ন্যায়কে অন্যায় করি নি!
আমি তো নিজেকে অসহায় নারীর দেহতত্ত্বে উত্তেজিত করি নি!
আমি তো বেশ্যার দালালী করি নি!
আমি তো বেশ্যালয় পদধূলি দেয় নি!
আমি তো জনসমাবেশে যায় নি!
আমি তো বোমা-গুলি-ককটেল মারি নি!
আমি তো গলির মোড়ে ইভটিজিং করি নি!
আমি তে নষ্ট বীর্যপাত সমাজে ছিটাই না!
দাদা, আমি বড্ড এক রুক্ষ মূর্খ্য-সূর্খ্য মানব
আমি সাদা-সিধা এক বাঙালি কাঙাল,
আমি তো আমার ধর্মে ধার্মিক,
সাধুসন্ন্যাসী নয় বটে,
জড়তা কাজ করে ক্ষণে-ক্ষণে,
দাদা, আমি বড্ড বোকা-সোকা,
আমি সমাজের ছিটকে পোকা,
কেন আমি আজো জীবিত????
আমি থাকব না,না থাকব না!
এই সমাজে আমার কোন স্থান নেই!
কালভেদ বিশ্লেষণে আমি সমাজের বিষফোঁড়া।
আমি থাকতে চাই না!
আমাকে মুক্তি দাও,মুক্তি দাও দানব!
আমি এক মূর্খ্য-সূর্খ্য মানব