১.
এতোটাই ডুবে গেছি নেশায় যেন
আমি ভর করে আছি কোনো মৃত কচ্ছপের ডানায়;
তার কোনো হাত নেই, কোনো পা নেই,
মেরুদণ্ডের পাঁজর ছিড়ে বেরিয়েছে দুটো লকলকে ডানা।
(কচ্ছপের মেরুদণ্ড কি আদৌ থাকে?)
আমরা উড়ে যাচ্ছি, চারিদিকে আকাশ;
একি! এতো ধীরে কেন!
ডানা পেয়েও কি তবে কচ্ছপ জোরে দৌড়াতে পারলোনা!
আমি শুয়ে আছি ঘরে;
কার ঘর জানা নেই, আমি শুধু শুয়ে আছি;
সকাল না রাত জানা নেই, আমি শুয়ে আছি;
তবে কি কেউ খেলছে আলো-আঁধারির খেলা?
একি! কচ্ছপটা কোথায় গেলো!
আমি শুয়ে আছি মাটিতে, ঘর কই!
আমার চোখ বুজে আসছে;
আমি ঘুমাবো, আমি পালাবো।
ছিলিমটা কই গেলো, আমি কোথায়!
২.
আর কোনো হুশ নেই,
আর কেউ বলছেনা কথা;
মানুষটা ডুবে গেছে ঘোরে।
গাঁজাটাও জিনিস বটে;
ক’টান দাও, বুঝে যাবে ভগবান কাকে বলে!
৩.
আমি বুঝিনা ওরা নেশা কেন করে।
কারো হাতে গাঁজা, কারো হাতে মদ।
হিরোইন-আফিম আর চলছেনা আজকাল;
ইয়াবার বড়িটাই বেশি খায় ওরা,
মিনিমাম সিগারেট গুঁজে রাখে মুখে।
আমি বুঝিনা এতো মাদকদ্রব্যের কি দরকার!
আমাকেই দেখে নিন,
গায়ে কোনো সুঁই-সুঁচ ফুটো নেই,
কোনো নেশা নেই;
তবু ডুবে আছি অন্ধকারে!