Review This Poem

এক তরুণ কবিকে বলা হলো নারীকে নিয়ে কবিতা লিখতে
কবি কিছুক্ষণ ভাবলেন, কলম ধরলেন—অতঃপর লিখলেন,
আধুনিক বনলতা সেন—
চুল তার খোপাকার—বাঁধা কপির মতো
চোখ তার পটলচেরা—মায়াবী হরিণ
কাঁচা হলদে গায়ের রঙ; লক্ষ্মীরূপি মুখ
দেহ থেকে আসে বাতাবি লেবুর ঘ্রাণ

জালি লাউয়ের ডগা ছিড়েছ কী? তবে ছুঁয়েছ তার কোমল বাহুদ্বয়
ঢেঁড়সরূপ আঙুলগুলো, আহা! টসটসে; যেন সুগন্ধি ললিপপ
শীতের সিমের মতো নখের কতো যত্নআত্তি—ঈষদুষ্ণ জলস্নাতে
স্তনযুগল বেদানার ন্যায় ঝুলে থাকে দেহগাছের শাখে
কুমড়োসদৃশ নিতম্বে খেলে যায়—সমুদ্রের আগ্রাসী ঢেউ

ঠোঁট দুটো কমলার কোয়ার মতো মোলায়েম—পাকা সৌদি খেজুর
টমেটোরূপি মসৃন গাল দুটি ছুঁলেই লাল রক্তের ঝরণা ঝরে যেন
ডালিমের দানা দিয়ে খায় সে ইলিশের মাথা কিংবা গাজর-কলা
জাম কালার তিল তার বুক-পেটে আরেকটি জঘনদেশে

লোমরাজি যদি ছিড়ে খাও—পাবে দূর্বার স্বাদ; শুকাইবে মনকষ্টক্ষত
চৈতালি দুপুরে শসার শরবতের তৃপ্ততা নিতে চাইলে যাও—নাভিমূলে
অতঃপর নেমে যাও ধীরে বৎস, পাবে দ্বিখণ্ডিত পাকা পেঁপের গুহা
যদি হও থাই ডুবুরি—সেখানে খুঁজে পাবে চীনা লিচুর অমৃতস্বাদ

বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে প্রেম যত চাও—দিবে ডায়নার মতো
দেহ দিতেও আপত্তি নেই রমার—যদি থাকে ভরা মৌসুম
তবে পথিক ক্ষান্ত হইও যদি তার চোখে দ্যাখো—লাল মরিচি রেখা
অভিমান করলে তার দেহ দিয়ে বেরোয় মিসরীয় পেঁয়াজের ঝাঁজ
এমন হলে গো মুরদ—করলার বিস্বাদ নিয়ে ফিরতে হবে তোমায়

তরুণের এ কবিতা দেখে হতবাক প্রবীণ কবি অসীম
জিজ্ঞাসিনু চোখে কহেন, তবে কী নারীদেহ খাদ্যসামগ্রী?
থাম বৎস্য, কাট সব। ফের ধর কলম—
কাম নয়, প্রেমে আঁক নারীর দেহা
রূপ ছেড়ে গুণ গাও—আন সমতা।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments