তিনি সবকিছু অগ্রিম চাইতেন:
বৃক্ষের আগে ফল,
সন্ধ্যার আগে চাঁদ–
নিদ্রার আগে স্বপ্ন আর
সূর্যের আগে সকাল।
বিয়ের আগেই তিনি সন্তান চাইলেন,
তার প্রেমিকা গর্ভবতী হলো।
ঘরের আগে চাইলেন জানালা–
আয়তাকার কাঠের ফ্রেমগুলো খুব
দুলতে লাগলো শূন্যে; আর
ছাদের আগে পাখা চাইলে
গোল হয়ে ঘুরতে লাগলো বাতাস।
যেদিন তিনি নিজের গায়ে হাত বুলিয়ে দেখলেন:
তার চামড়ায় মালভূমির মতো ভাঁজ–
মৃত্যুর মিস্ত্রিকে ডেকে তিনি বানালেন
কারুকার্যময় কফিন আর কবর।
সেলাই না-করা শাদা পোশাকে শরীর গলিয়ে
এক লাফে ডিগবাজি খেলেন কফিনে
আর জুতার শব্দের মতো হাসতে লাগলেন–
তার প্রেমিকা ও সন্তানরা
কাঁধে নিয়ে চললো তাকে কবরের দিকে।