শেষতক অনুজ্জ্বল পার্শ চরিত্রে পুরোদস্তুর অভিনয় শুরু করে
এই নগরের কোলাহল শূন্য স্নিগ্ধ সকাল।
ছিন্নমূল মানুষের স্যান্ডেলের শব্দে মহাসম্মেলনের স্লোগান
জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো
জীবন নামের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে।
মুহুর্মুহ করতালিতে স্তব্ধতার পরিত্রাণ-
একেরপর এক উড়ে আসে টিয়ার সেল, জলকামানের স্রোত,
চিত্রগুপ্তের লাঠিয়ালবাহিনীর বেধড়ক লাঠিচার্জ,
ঝকঝকে কমান্ডোবুটের এলোপাথাড়ি লাথি,
বুলেটবিদ্ধ নিথর দেহ যাত্রা করে,
গাঢ় তমিস্রার ম্লান পথে।
সরলীকরণের খুব ইচ্ছা দমে যায় গরলীকরণের নিঃশাসে।
আত্মার শোকসভায় ভেংচি কেটে সেলফি তোলে জীবন
কুচি সুপারির অভিশাপে মরে যায় উন্মত্ত পানের বরজ।
প্রহরের পর প্রহর ঘুরে আবার ফিরে আসে সকাল
আবার শুরু হয় বাঁচার স্লোগান,
অদৃশ্য আগুনে আবার পোড়ে।
জীবন বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে সুরম্য ফ্ল্যাটের গজল আয়োজনে।