স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে কাটতে শিখেছি –
জীবনের বিচ্ছিন্ন বলবিদ্যাতত্ত্ব
চড়াই-উৎরাইয়ের শরীর-বৃত্তান্ত
কিংবা অসংখ্য অগ্রন্থিত সাদাকালো শ্লোক
ক্লান্ত পাঁজরের ওপর দিয়ে পাল্লা দিয়ে ওড়ে
একেকটা ক্ষুধার্ত মাছমুরাল
হাতের ঈশারায় উড়ে গিয়েও ফিরে আসে; হতাশাগ্রস্ত
অশ্রাব্য খিস্তি-খেউড় দাঁতে দাঁত কামড়ে আটকে রেখে
ভদ্রলোকের পোশাকে কৃতদাস সাজি; রোজ
ভবিতব্য অস্বীকার করে স্রোত তবু বয়ে যায়
বিপরীতে সাঁতার কেটে হাঁপিয়ে উঠেছে আমার দুর্বল ফুসফুস
সানকিভরা গনগনে কয়লায় পোড়া হস্তরেখায়
পড়ে আছে পিঁপড়েধরা মৃত সরীসৃপের কঙ্কাল,
তুরুপের টেক্কা হাতে একজন ফেরারি বাজিকর-
সম্ভাব্যতার কিছু ব্যর্থ সূত্র; পরিত্যক্ত পথের বাঁক
এ হাতের তালুতে পড়ে আছে পেন্সিলের দাগ
ভাগ্যদেবীর এই মুল্লুকে যাতায়াত নেই
কোনোদিন আসেনি পূজিত হতে-
কোনোদিন আসেনি সাঁতার কাটার ব্যবহারিক শেখাতে
পরস্পর বিপ্রতীপ সত্তাদ্বয় ক্রমশ দূরে, আরো দূরে
যায়-যাচ্ছে-যায়…
হঠাৎ সামনে এসে সিপাহি খাড়ায়!