কারার ঐ লৌহ কপাট
১কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,রক্ত-জমাটশিকল পূজার পাষাণ-বেদী।ওরে ও তরুণ ঈশান!বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!ধ্বংসসম্পূর্ণ
ভাঙার গান’ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিদ্রোহাত্মক কাব্যগ্রন্থ। এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালের আগষ্ট মাসে (১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণে)। ১১ নভেম্বর ১৯২৪ তারিখে তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার গ্রন্থটি বাজেয়াফত করে ও নিষিদ্ধ করে। ব্রিটিশ সরকার কখনো এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেননি। “ভাঙার গান”-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পায় ১৯৪৯-এ।
১কারার ঐ লৌহকপাট,ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,রক্ত-জমাটশিকল পূজার পাষাণ-বেদী।ওরে ও তরুণ ঈশান!বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!ধ্বংসসম্পূর্ণ
বল রে বন্য হিংস্র বীর,দুঃশাসনের চাই রুধির।চাই রুধির রক্ত চাই,ঘোষো দিকে দিকে এই কথাইদুঃশাসনের রক্তসম্পূর্ণ
এস অষ্টমী-পূর্ণচন্দ্র! এস পূর্ণিমা-পূর্ণচাঁদ!ভেদ করি পুন বন্ধ কারার অন্ধকারের পাষাণ-ফাঁদ!এস অনাগত নব-প্রলয়ের মহা সেনাপতি মহামহিম!এসসম্পূর্ণ
জাগো আজ দণ্ড-হাতে চণ্ড বঙ্গবাসী।ডুবাল পাপ-চণ্ডাল তোদের বাংলা দেশের কাশী।জাগো বঙ্গবাসী॥তোরাহত্যা দিতিস যাঁর থানে,সম্পূর্ণ
ল্যাবেন্ডিশ* বাহিনীর বিজাতীয় সঙ্গীত(*কলকাতার এক জাতীয় সিপাহী) কোরাস্: কে বলে মোদেরে ল্যাডাগ্যাপচার? আমরা সিভিল গাড়,অরাজকসম্পূর্ণ
* হুগলি জেলে কারারুদ্ধ থাকাকালীন জেলের সকল প্রকার জুলুম আমাদের উপর দিয়ে পরখ করে নেওয়াসম্পূর্ণ
কোরাস্: বাংলার ‘শের’, বাংলার শির, বাংলার বাণী, বাংলার বীর সহসা ও-পারে অস্তমান। এপারে দাঁড়ায়ে দেখিল ভারতসম্পূর্ণ