কেমন বৃষ্টি ঝরে
কেমন বৃষ্টি ঝরে—মধুর বৃষ্টি ঝরে—ঘাসে যে বৃষ্টি ঝরে—রোদে যে বৃষ্টি ঝরে আজ কেমন সবুজ পাতা—জামীরসম্পূর্ণ
রূপসী বাংলা বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। এটি তাঁর সপ্তম কাব্যগ্রন্থ। কবি জীবদ্দশায় এ গ্রন্থটি বা এর অন্তর্ভুক্ত কোন কবিতা প্রকাশ করেন নি। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে দুঘর্টনায় অকালমৃত্যুর পর এর পাণ্ডুলিপির খাতাটি আবিষ্কৃত হয়। কবি এ গ্রন্থটির প্রচ্ছদনাম নির্বাচন করেছিলেন বাংলার ত্রস্ত নীলিমা। জীবনানন্দ কেন স্বীয় জীবদ্দশায় এ কাব্যগন্থটি প্রকাশ করেননি তা অদ্যাবধি এক পরম বিস্ময় হয়ে আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ কাব্যের কবিতাগুলি বাঙালিদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল।
কেমন বৃষ্টি ঝরে—মধুর বৃষ্টি ঝরে—ঘাসে যে বৃষ্টি ঝরে—রোদে যে বৃষ্টি ঝরে আজ কেমন সবুজ পাতা—জামীরসম্পূর্ণ
গল্পে আমি পড়িয়াছি কাঞ্চী কাশী বিদিশার কথাকোনদিন চোখে দেখি নাইএকদিন ভাবিলাম মাঠে মাঠে কুয়াশায়যদি আমিসম্পূর্ণ
গুবরে ফড়িং শুধু উড়ে যায় আজ এই সন্ধ্যার বাতাসে,খড়কুটা ঝড়ে শুধু শাইকের মুখ থেকে চুপে।আবারসম্পূর্ণ
ঘাটশিলা—ঘটশিলা—কলকাতা ছেড়ে বল ঘাটশিলা কে যায় মিছাইচিরদিন কলতাকা থাকি আমি,ঘাটশিলা ছাই। চিঠির উপরে তবু চিঠিকয়েকটাসম্পূর্ণ
চিরদিন শহরেই থাকিপড়ে থাকি পাটের আড়তেকরি কেরানির কাজ—শুভে-লাভে যদি কোনোমতেদিন যায় চ’লেআকাশের তলেনক্ষত্রেরা কয় কোন্সম্পূর্ণ
কত দিন ঘাসে আর মাঠেআমার উৎসাহে প্রাণ কাটেখড় খুঁটি—অশ্বথ্থের শুকনো পাতা চুপে উল্টাইদু’একটা পোকা যদিসম্পূর্ণ
কতদিন তুমি আর আমি এসে এইখানে বসিয়াছি ঘরের ভিতরখড়ের চালের নিচে, অন্ধকারে; — সন্ধ্যার ধূসরসম্পূর্ণ
একদিন যদি আমি কোনো দূর বিদেশের সমুদ্রের জলেফেনার মতন ভাসি শীত রাতে — আসি নাকোসম্পূর্ণ
১আকাশে চাঁদের আলো—উঠোনে চাঁদের আলো—নীলাভ চাঁদের আলো—এমন চাঁদের আলো আজবাতাসে ঘুঘুর ডাক—অশত্থে ঘুঘুর ডাক—হৃদয়ে ঘুঘুসম্পূর্ণ
তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও—আকাশের রৌদ্র ধুলো ধোঁয়া থেকে স’রেএইখানে চ’লে এসো; পৃথিবীর পথে আমিসম্পূর্ণ