Review This Poem

একুশ ফেব্রুয়ারি মানছো সবাই
উনিশে মে কেন নয়!
বাংলা মায়ের এগারোটি দামাল ছেলেমেয়ে
শহীদ হয়েছিলো পুলিশের গুলিতে স্বাধীন ভারতে, একষট্টির বরাকে ভাষা আন্দোলনে
এই ইতিহাস, কারুরই অজানা নয়।

মাতৃঋণ শোধ করতে বাহান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে পূববাংলার রমনা ময়দানের এতিহ‍্যবাহী আসামের শিলচরে বাঙ্গালীর ভাষা আন্দোলন কখনও ভোলার নয়।

তবু কেন জানিনা ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে কেবলই ওপার বাংলার শহীদদের স্মরণ করা হয়;
আমরা লিখি অসংখ্য কবিতা, করি নাচগান অজস্র তাদেরই স্মৃতিতে,
কেন তবে উনিশে মের এগারো শহীদের অবদান সযত্নে ভুলিয়ে রাখা হয়।

উভয় দিনের অমর শহীদদের উদ্দেশ‍্য ছিলো এক ও অভিন্ন
তবু কেন এক দল শহীদদের ব্রাত‍্য করে অন‍্য দলের স্মৃতি তর্পন করা হয়।
এখানেই বাংলা ও বাঙালির মানসিকতা নীতি ও বিবেকের হয় সামূহিক পরাজয়।

একুশে ফেব্রুয়ারির ফলশ্রুতিতে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায় ও স্বাধীন বাংলাদেশ রচিত হয়।
অন‍্যদিকে ৬১র উনিশে মে আন্দোলনের পরিণামে বরাকে বাংলাভাষা আসামে সরকারী ভাষার স্বীকৃতি পায়।
তবু কেন স্বাধীন ভারতের বাংলা ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের অবদান খাটো করে, কৌশলে ভুলিয়ে রাখা হয়!

দুই বাংলার সীমারেখার মতো সুকৌশলে
বাঙালির মাঝে বিভেদ জিইয়ে রখা হয়।
প্রকারান্তরে রবীন্দ্র নজরুলের সোনার বাংলার স্বপ্নকে অসম্মান করা হয়।

সারা বিশ্বের আপামর বাঙালির কাছে নিবেদন–স্হান, কাল, পাত্র নির্বিশেষে তামাম বিশ্বের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সব শহীদদের যেন একই পংক্তিতে রাখা হয়, একইরকম স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া হয়।

বিশ্বকবির সুরে সুর মিলিয়ে বলি–
বিশ্ব বাঙালির ভাবনা,চেতন
আশা, ভালোবাসা,প্রতিবাদ, স্বপ্ন ,মনন
এক হোক ,এক হোক হে ভগবান
বিশ্বমাঝারে সকল বাঙালি তুলুক ঐক‍্যতান
হোক এক জাতি, এক ভাষা ,এক প্রাণ।

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments