এই শহর ছেড়ে সে এবার চলে যাবে,
ভারী শেকলে ছিল তার গলা হাত পা পর্যন্ত বাঁধা!
এখন তার পায়ে নেই কোনো লোহার বেড়ি।
— এখন সে মুক্ত।
তবু কেঁদেছিল,
কত নিশিযাপন করেছে বিনিদ্রায়, এক ছন্নমতি কবির জন্যে।
অতঃপর
সকল অভিমান, অনুযোগ রেখে বেধেছে ঘর পাহারের সাথে।
একদিন,
পাহাড়ের রহস্য ছিড়েখুঁড়ে এনেছিল একটা বনোফুল;
যা সে বহুদিন লুকিয়ে রেখেছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে।
ফুলটি কবিকে দিবে বলে।
এদিকে,
কবি শত হাত কুয়া খুড়ে এনেছে একটি মাত্র শব্দ।
দিয়েছে তার আপন প্রেয়সীর হাতে ,
জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠল ❝শূন্যতা❞ নামক শব্দ।
আপন মনে বলে উঠল কবির প্রিয়সী,
সময় আমাকে গিলে খায়, আমি আকাশ গিলবো বলে পানিতে ডুব দিই।
মেঘফুল দেই নাকে, সূর্যকে বানিয়েছি কপালের টিপ।
দুই পাহারকে করেছি আমার কানের ঝুমকা;
বৃষ্টির শব্দকে বানিয়েছি পায়ের ঘুঙুর।
আফসোস আদিম কবি তুমি তা বুঝো নি।
দিবা কিংবা রাত্র হলেই কত শত যাতনা নিয়ে,
মস্ত একটা আকাশ বুকের ভিতর পুষে নিয়ে পাহাড়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
অথচ বুঝলে না কবি,
কেবলমাত্র আমার বেলায় তুমি ছন্নমতি।