শিশু জন্ম নিল,
এ শিশুর জন্ম লগ্নে বাঁজেনি কোন শঙ্খধ্বনি কিংবা দূর থেকে ভেসে আসেনি কোন আজানের সুর!
তবুও এ শিশু জন্ম নিল…..
প্রধান মন্ত্রী তখন আমাদের শহরে,
ভাষণ দিচ্ছিলেন ব্রিটিশ অনুগামী কোন রাষ্ট্র নেতার মত!
মায়ের গর্ভের ভাগ পুনঃবার
করবার নির্লজ্জ ঘোষনা —
সভা মঞ্চে জোরদার করতালি,
উল্লসিত প্রধান মন্ত্রীর বাহান্ন ইঞ্চি ফুলে ফেঁপে একশ চার!
শিশু হাসছে, দ্বারকার আকাশে উল্কাপিন্ড হামাগুড়ি খায় প্রতিনিয়ত।
মায়ের চোখে তখন আশংকার মেঘ উধাও হয়ে সমুদ্র সৈকতে বেজে উঠে শিল্পীর বীনার সুর।
সেনাবাহিনী টইল দিচ্ছে তখন সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন এরিয়ায়!
বাজার দর মাথাচাড়া দেয় প্রতি মুহূর্তে !
শাসকের দাড়িতে বহুমূল্য বিদেশী কোম্পানির প্রসাধন চকচক করে উঠে।
বেকার যুবকের বুকে বিঁধে গুন্ডারাজের গুলি,
শিল্পপতি হাত তালি দেয় মধ্য রাতের টি পার্টির টেবিলে!
নেতার টেবিলের ড্রয়ার খুলে দেয় সাগরেদ,
শিল্পপতির মাথা ঢুকে তাতে।
শিশু জন্ম নিল তবুও..
শিশুর জন্মলগ্নে বাতাসে বইছে মৌমাছিদের দুরন্ত প্রলয় উল্লাস!
বিষাক্ত ছোবলে আমাদের মধ্য আকাশে তখন ইবলিশের তান্ডব..
সভ্যতা জয়ের নির্লজ্জ উল্লাসে
কেঁপে উঠেনি তখনও সদ্য জন্মানো শিশুর হৃদয়!
বরং তার চোখে মুখে ফুটে উঠল
অবজ্ঞার হাসি,
যেন চে গুয়েভাড়ার কবর খুঁজে এনেছে বিপ্লবের নুতন কোন এক মন্ত্র।
এ শিশু জন্মলগ্নে ফেলেনি এক ফোঁটা চোখের জল,
জন্মলগ্নেই চোখের জল বদলে গেছে প্রতিবাদের আগুনে ধর্মতলা থেকে যন্তর মন্তরে!
অযোধ্যায় তখন উল্লাসে মেতে উঠেছে ঘর হারানো মানুষ গুলো,
হাতে তাদের প্ল্যাকার্ড জয় শ্রীরাম।