পকেটভর্তি অভাব চলছে তখন,
আজ এর-কাল ওর পকেট হয় আমার।
না-না,ছি;ছি; পকেট কাটিং করিনা কারোর!
এটা আত্বসন্মান খুঁয়ে পরজীবীতে রূপান্তর।
প্রথম-প্রথম খারাপ লাগা,
আস্তে আস্তে অভ্যাসে পরিণত হওয়া।
হঠাৎ কে কবে একটা টিউশন দেয় জুটিয়ে,
শহর থেকে ৪ মাইল দূরে নদের ওপারে।
ক্ষরানের দিনে এই বেশ ভাল,
অন্তত গাঁজা কিনতে কৈফিয়ত লাগবেনা কারো।
কুড়ি টাকার একটা পুটলা কিনেছি সেদিন,
পূর্ণিমা গালাগাল দিয়েছে গাঁজাখোর আমি জ্ঞানহীন।
তার পর থেকেই আসলে অভাব শুরু!
সোনামনি আমার লাগবেনা আর পকেটমানি।
প্রথম যেদিন পড়ানো,কুড়ি টাকার একটা পুটলা কিনে-
আমি গেছি হারানো।
ঘোরার সখ আমার প্রচুর,যদি হয় নতুন জায়গা-
কবিতা নামবে তিমির দীঘিতে,করবে হৃদয় ভাঙচুর।
নেশায় আমি কোথায়-কোথায় গিয়েছি!
এমন একদিনো বাদ নেই,জুতার আঠা টেনে-
সাফল্যের চূড়ান্ত শিখায় না পৌঁছেছি।
এতো টিউশন ফাঁকি দিয়ে নিখোঁজ।
প্রচুর বৃষ্টি ছিল,পল্লীবিদ্যুৎ ছুটি নিয়েছে সেদিনো।
রাস্তাজুড়ে আমি-ঝিঁঝিঁপোকা-ব্যাঙ-বৃষ্টিস্নাত সুবাস-নিকশ আঁধার।
মাঝে মাঝে দূরের ঘড় গুলিতে ছোট আলো-
মনে করিয়ে দেয় তোমায় নিয়ে এমনি সরল একটা জীবন আশা ছিল ।
খারাপ নয়,অন্তত শহরের যান্ত্রিক কোনো ফ্রাস্ট্রেশন নেই এখানে,
উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখ,সুখেই আছে ওরা!
এমনি সুখ নিয়ে দেয়াল ভেঙ্গে এক হয়েছি অন্ধকারের রাস্তায়।
যেতে যেতে নেশায় পড়ল ভাটা-
বোধহয় অন্য কোনো গ্রামের বাজারের খুব কাছাকাছি আমি!
একটা ছোট্ট মেয়ে এসে বলল,সামনেই বাজার!
দিকভ্রষ্ট পথিককে জানিনা সে কি করে চিনল।
এ কি তোমার ছেলেবেলা?
তারপরে জিজ্ঞাসা করিনি কখনো!
ফেরার সময় সব যেন খুব পরিচিত।
একশত টাকার বিনিময়ে একটা রিক্সা মিলল।
জিজ্ঞেস করলাম তাকে,তামাক খাও?
পকেটে সেই পুটলার অংশটুকু!
ব্যোম হয়ে রিক্সা জার্নি! মন্দ নয়!
বাজারের পাশে নিচে সরু খাল বয়ে যায়,
খালের পারে রিক্সাওয়ালা বসে তামাকে দেয় ডলা –
আমি ডলা দেখতে দেখতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়।
হায়! স্বপ্নেও আমি এখন তামাক খাই!