Review This Poem

-আমার মতো বেওয়ারিশ একটা পথের কাঙালের সাথে ঘর বেঁধে
শুধু শুধু নষ্ট হতো তোমার জীবন।
বরং… এইতো ভাল।
এখন তুমি সুখে আছ তো মিথিলা…?
-হ্যাঁ, সুখে আছি, ভয়াবহভাবে সুখে আছি।
অনন্ত, ভুল সুখ, ভুল আভিজাত্য আর ভুল পূর্ণতা
আমায় তাড়া করতে করতে যেদিন দেয়ালে নিয়ে ঠেকাল,
যেদিন দেখলাম আর পথ নেই আমার পথ চলবার,
সেদিনই তার সাথে আমার সম্পর্ক চুকে গেছে।
অনন্ত, আর কিছু জানতে চেয়ো না।
কি নিষ্ঠুর এই খেলা ! তাই না, অনন্ত ?
কাল রাতে কেন যেন বার বার মনে হয়েছে তুমিই অনত। কিন্তু……
আচ্ছা তুমি কেন নিজেকে লুকোলে ?
– ভয়ে।
– কিসের ?
– একাকিত্বের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটার।
তুমিই বা কেন পরিচয় গোপন করলে ?
– ওই.. একই কারণে।
আচ্ছা, শুনেছিলাম তুমি বাইরে সেটেল করেছ।
এলে কবে ?
– এই.. অল্প কিছুদিন।
– এই, একটা কবিতা বল না..
– জো হুকুম…
…..
” ও সোনা বউ,
আবার একবার আয় না দেখি কেমন পারিস..
দুঃখের শিকল ছিড়ে ফেলে, সিংহাসনের মোহ ভুলে
পলকে তোর চোখ সাগরে ঝাপিয়ে পড়ি কেমন দেখিস..
ও সোনা বউ,
আবার একবার আয় না দেখি কেমন পারিস…
এই যে এখন এই আঙিনায় হাসনাহেনায়
লেগে গেল চাঁদের আগুন।
চোখের জলের বইছে নদী
ভুলের বোঝা বাড়ে দ্বিগুন।
উথাল পাথাল জোৎস্না রাতে তোর অভাবে
এই অভাবীর নেই চোখে ঘুম।
এমনি সময় জোৎস্না বরণ ঘোমটা তুলে
রুনু ঝুনু নূপুর পায়ে
হৃদয়পাতা পথ মাড়িয়ে…
ও সোনা বউ,
সেই যুবকের পাশটি ছেড়ে আই না শ্যামা…
কেন এমন যত্ন করে কষ্টে রাখিস ??
ও সোনা বউ,
আবার একবার আই না দেখি কেমন পারিস..
আই রে আবার দু’জনে আজ যাই চলে সেই যমুনা পাড়ে।
হাঁটু জলে নেমে গিয়ে তোর সিঁথিতে আবার আমি
পরিয়ে দেব কাঁদার সিঁদুর।
লজ্জা পেয়ে পালিয়ে যাবি এক নিমিষে।
আমি তখন বালুর চরে
নামটি ধরে ডাকবো তোকে,
“..ও… সোনা বউ… সোনা বউ…..”
তুই যে তখন যমুনার ওই বিশাল চরের বুকটি চিরে
জোৎস্নালোকে লিখবি এ নাম তোর নামেতে যুক্ত করে।
এমনি তোর হাজার স্মৃতি
এমনিভাবে খুব সহজে ভুলতে পারিস কেমন করে ?
ফেলিসনে আর আলতা চরণ ভুলের ঘোরে।।
দেখে যা না,
তোর হৃদয়ের টুকরো আমি কেমন করে বেঁচে আছি !!
কষ্টে আছি, কষ্টে আছি !!
ওরে সোনা হারিয়ে তোকে নষ্ট আমি কষ্টে আছি।
তুই তো জানিস, তবু কেন এমন করে
সুখের নদী শুকিয়ে দিয়ে
কষ্টে রাখিস কষ্টে রাখিস ?
ও সোনা বউ,
আবার একবার আই না দেখি কেমন পারিস…
কেমন পারিস….. কেমন পারিস….”

guest
0 Comments
Newest
Oldest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments