কোথাও সুর্যদয়ের পাহাড় চুড়া নেই
গ্যালো বছর খুব ভিজেছিলাম ;
কৃষ্ণচুড়ায় ছেয়েছিল পথ আর বৃষ্টি
ওড়নার রং ধুয়ে ওঠেনি লন্ড্রি মেশিন।
আমার কোন জারুল বন নেই
তবুও বেগুনী উত্পাদন করেই চলে
আলট্রা ভায়োলেট রে, দুরন্ত উত্তাপে
চামড়ার নীচে বাড়তি মেলানিন হরমোন ।
সেই ছাতিমের ডালেডালে চড়ুই নাচে না
কাঠবেড়ালীর খসে যাওয়া লেজও দেখেছিলাম
বিষন্ন ব্যথায় কুকড়ে গিয়েও নেই নেই
মৃত্যু নেই, বয়ে যাওয়া খরপোশ ।
এখানে কোন দেবদারু বাগান নেই
তবুও রোড ডিভাইডারে কেমন বনসাই বন
এয়ারপোর্ট রোডে ছেলেবেলায় জন্মাতো
চিরল চিরল হলুদাভ স্বর্নলতার ঝাড়।
আমি এমনি বকেই চলি নিজের মনে
শিরদাড়া বেয়ে হীম স্রোত নেমে যায়
তাকিয়ে থেকেও জীবন দেখিনা, সুখ নেই
সাধ্য হয়না অসাধ্য অসুখ বইবার।
তাকে ছাড়া জীবন মরনের তুল্য বলে
বাঁচতে চেয়েও ছুটেছি শোক বয়ে নিয়ে,
আজ সে চলে গেছে তাই মৃত্যুকে ডাকছি
যখন, জীবন তবুও দরজা ডিঙ্গোয় না।
সে, সে’ই একমাত্র প্যারাডক্স ।