পাগলের প্রথম এবং প্রধান উপসর্গ হলো একই কথা বারবার বলা!
অথচ আমি তোমায় ভালোবাসি একথাটা আমি প্রকাশ্যে বারবারই বলি।
তুমি তো আমায় পাগলই বলো, আবার হেমায়েতপুরে যা ওয়ার প্রস্তাবও দাও, সে তুমি যাই করো, আমি যে তোমায় ভালোবাসি এ তো নিত্য চিরন্তন সত্য।
এমন সত্য প্রলাপে আমি যদি পাগলও হই তাহলে হলুম।
জোৎস্নাউৎসবে তোমায় নাইবা পেলাম
তোমায় ভেবে জোৎস্নায় একটি কবিতা তো লিখলাম?
এই কবিতাটা তোমায়ই দিলাম।
এ কবিতাটা দিয়ে তুমি কি করবে?
ভর্তি স্যুটক্যাসে তোমার এঁটো জামাকাপড়ের ভিড়ে গুঁজে রাখবে? গোপন ডায়েরীর পাতায় লুকিয়ে রাখবে,যে পাতায় তুমি তোমার প্রেমিকদের থেকে পাওয়া প্রথম গোলাপ যত্নে লুকিয়ে রাখো।
নাকি তোমার সদ্যপরিহিত শাড়ির আচলে গুঁজে রাখবে? যেমনটা রাখো তোমার সদ্য গোছানো সংসারের চাবি। যে চাবিটা তোমার স্বামী তোমার আঁচলে এঁটে দিয়েছেন!
নাকি দুমড়ে মুচড়ে ছিঁড়ে ফেলে দিবে নর্দামায়?
খুলেও দেখবে না আমি তোমায় কি লিখেছি।
যেমনটা দেখোনি, তোমায় নিয়ে আমার লেখা প্রথম চিঠি।
নাকি, খুলে পড়ে দেখবে- তারপর অট্ট হাসি দিয়ে বলবে- যত্ত সব পাগলের প্রলাপ!
তোমার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো- পাঁচ বৎসর আগে! এ পাঁচটে বৎসরে তোমায় আমি একটি দিনের জন্যেও পাই নি!
আমার সাথে কখনোই তুমি হাসো নি, আসো নি, পথও হাঁটো নি, আমায় খুঁজোও নি।
তাতে অবশ্য আমার কোন দুঃখ নেই, অভিযোগও নেই।
আমি তো ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে মাটিতে মিশে যাওয়া কোন স্বর্ণ কনা নই,
যে লোকে একবার জানতে পারলে –
খুঁজে খুড়ে বের করবে!
পাগলের প্রলাপ
মেঘনাপাড়,
বাইশে জুলাই দু হাজার একুশ।